
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় চাল ব্যবসায়ী নজির মিয়া ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আসামি শাকিল হোসেনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে আসামিদের উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের ক্লাবপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক (৪২), একই গ্রামের শেখপাড়ার পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন (২৫) ও মাঝেরপাড়ার মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৩)।
এছাড়া দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শাকিল হোসেন (২৩) একই গ্রামের স্কুলপাড়ার তাহাজ উদ্দীনের ছেলে। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিয়ে রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে স্বজনদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানিয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারপাড়ায় চাল ব্যবসায়ী বৃদ্ধ নজির মিয়া ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন বসবাস করতেন। ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে যেকোনো সময় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা চুরির উদ্দেশ্যে বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে প্রবেশ করেন। প্রথমে বৃদ্ধ নজির মিয়াকে হাত-পা বেঁধে জবাই ও কুপিয়ে হত্যা করেন তারা। পরে তার স্ত্রীকে ঘরের ভেতর জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এরপর দম্পতির মেয়ে-জামাই অহিদুলসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাদের ফোন করে না পেয়ে বাড়িতে এসে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান।
পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা তালা ভেঙে দুজনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেন। ঘটনার দুদিন পর ২৫ সেপ্টম্বর নিহতের মেয়ে ডালিয়া পারভীন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিহাব উদ্দীন নিহত দম্পতির চুরি হওয়া মোবাইলের সূত্র ধরে আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করেন। সেই মোবাইলের কল লিস্ট ধরে হত্যায় সরাসরি জড়িত তিন আসামিদের গ্রেপ্তার করেন। এরপর ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আজ মঙ্গলবার এই রায় প্রদান করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho