কেউ সমুদ্র স্নানে মাতোয়ারা, কেউ চড়ছেন ঘোড়ায়, আবার কেউ কেউ কিটকটে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্রের তরঙ্গ। শুধু সমুদ্র সৈকতের তিন পয়েন্ট নয়, চাপ বেড়েছে দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ, পাটোয়ারটেক, ইনানী, রামুর বৌদ্ধ বিহারসহ আশপাশের সব পর্যটন স্পটে।
ভরদুপুরের রোদের আধিক্য কমতেই পর্যটকের ঢল নামছে মেরিন ড্রাইভে। একপাশে সাগর অন্যপাশে পাহাড় তার মাঝখানে চলে যাওয়া প্রায় ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভে গাড়িতে চড়ে যেতে যেতে চোখে প্রশান্তি এনে দেয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ সব দৃশ্য। এমন দৃশ্য থেকে বঞ্চিত না হতেই সকাল সন্ধ্যে ছুটছে পর্যটকরা।
পর্যটকরা বলছেন, ঈদের ছুটিকে রঙিন করে তুলতেই তারা কক্সবাজার এসেছেন। সমুদ্রের তরঙ্গে নিজেকে হারাতে পেরে আনন্দিত তারা। তেমন কোন অভিযোগ নেই হোটেল ভাড়া ও রেস্টুরেন্ট বিল নিয়েও। তবে শহরের অভ্যন্তরে টমটম অটোরিকশায় হয়রানির শিকার হচ্ছে তারা।
হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আব্দুর রহমান জানান, তীব্র গরমের মধ্যেও প্রচুর পর্যটক এসেছে। কোন অসাধু ব্যবসায়ী যাতে সুযোগ কাজে লাগিয়ে হয়রানি করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা বলেন, পর্যটক হয়রানি রোধে সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।