বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উল্লাপাড়ায় ইউপি সদস্যর ‘ডাব চুরি’ আলোচনা সমালোচনার ঝড় 

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাহাদুর আলী মেম্বার  ডাব চুরি করে ধরা পরে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে বলে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে হাটিকুমরুল সহ আশপাশের এলাকায়। বর্তমানে টক ওফ দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে বিষয়টি।
হাটিকুমরুল বাজারে অনেকেই জানায়, ঈদের একদিন আগের রাতে অনুমানিক রাত সোয়া এগারোটার দিকে রাতের অন্ধকারে  হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের ডাব গাছ ও বেল গাছ থেকে চুরি করে বিক্রির উদ্দেশ্য  ডাব ও বেল পারে বাহাদুর মেম্বার। এ সময় সলঙ্গা থানার টহল পুলিশ বস্তা  ও মানুষ  দেখে এগিয়ে  গিয়ে  বাহাদুর মেম্বারকে বস্তার নিকট পায়, তাকে  জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। এসময় আবোলতাবোল কথা বললে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত পুলিশের।  এসময় তাকে  বস্তাসহ  হান্ডকাপ পরিয়ে পাশেই ওভার ব্রিজের নিচে নিয়ে গেলে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে মেম্বার পরিচয় দিলে  ও স্থানীয় নেতাদের তদবীরে ছেরে দেয় টহল পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে হাটিকুমরুল সহ আশপাশের এলাকায় এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
হাটিকুমরুলের প্রতিটি চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সকল জায়গায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দ্র বাহাদুর মেম্বার। কেউ কেউ বলছেন বাদুর কলা রেখে ডাব ক্ষেতে গিয়ে নাকি আহত হয়েছেন।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, এতিহ্যবাহী হাটিকুমরুল ইউনিয়নের মান ইজ্জত আর কিচ্ছু রইল না। একজন ইউপি সদস্য সামান্য কয়েকটা ডাবের লোভ সামাল দিতে পারেনা। দিনের বেলা যদি পেরো নিতো তাহলেও তো তাকে কেউ কিছুই বলত না। মোটামুটি ২৬ টার মত ডাব আর ৫০ /৬০ টা বেল আর কয় টাকায় বিক্রি করতে পারত এর জন্য পুলিশের থাপর খেল ডাব চোর উপাধি পেল। হাটিকুমরুলে ছোট বড় সকল বয়সের লোকজনই এখন তাকে ডাব চোর মেম্বার বলে ডাকছে। বয়স্ক মানুষ হিসেবে তার এই কাজটি করা মোটেও ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে বাহাদুর আলী মেম্বারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কি করব আমার অভাব,আমি বাইরে আছি পরে এসে তোমাদের সাথে কথা বলবো।
জনপ্রিয়

গণমাধ্যম অভূতপূর্ব স্বাধীনতা ভোগ করছে: প্রেস সচিব

উল্লাপাড়ায় ইউপি সদস্যর ‘ডাব চুরি’ আলোচনা সমালোচনার ঝড় 

প্রকাশের সময় : ০৯:২৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাহাদুর আলী মেম্বার  ডাব চুরি করে ধরা পরে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে বলে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে হাটিকুমরুল সহ আশপাশের এলাকায়। বর্তমানে টক ওফ দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে বিষয়টি।
হাটিকুমরুল বাজারে অনেকেই জানায়, ঈদের একদিন আগের রাতে অনুমানিক রাত সোয়া এগারোটার দিকে রাতের অন্ধকারে  হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের ডাব গাছ ও বেল গাছ থেকে চুরি করে বিক্রির উদ্দেশ্য  ডাব ও বেল পারে বাহাদুর মেম্বার। এ সময় সলঙ্গা থানার টহল পুলিশ বস্তা  ও মানুষ  দেখে এগিয়ে  গিয়ে  বাহাদুর মেম্বারকে বস্তার নিকট পায়, তাকে  জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। এসময় আবোলতাবোল কথা বললে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত পুলিশের।  এসময় তাকে  বস্তাসহ  হান্ডকাপ পরিয়ে পাশেই ওভার ব্রিজের নিচে নিয়ে গেলে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে মেম্বার পরিচয় দিলে  ও স্থানীয় নেতাদের তদবীরে ছেরে দেয় টহল পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে হাটিকুমরুল সহ আশপাশের এলাকায় এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
হাটিকুমরুলের প্রতিটি চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সকল জায়গায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দ্র বাহাদুর মেম্বার। কেউ কেউ বলছেন বাদুর কলা রেখে ডাব ক্ষেতে গিয়ে নাকি আহত হয়েছেন।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, এতিহ্যবাহী হাটিকুমরুল ইউনিয়নের মান ইজ্জত আর কিচ্ছু রইল না। একজন ইউপি সদস্য সামান্য কয়েকটা ডাবের লোভ সামাল দিতে পারেনা। দিনের বেলা যদি পেরো নিতো তাহলেও তো তাকে কেউ কিছুই বলত না। মোটামুটি ২৬ টার মত ডাব আর ৫০ /৬০ টা বেল আর কয় টাকায় বিক্রি করতে পারত এর জন্য পুলিশের থাপর খেল ডাব চোর উপাধি পেল। হাটিকুমরুলে ছোট বড় সকল বয়সের লোকজনই এখন তাকে ডাব চোর মেম্বার বলে ডাকছে। বয়স্ক মানুষ হিসেবে তার এই কাজটি করা মোটেও ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে বাহাদুর আলী মেম্বারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কি করব আমার অভাব,আমি বাইরে আছি পরে এসে তোমাদের সাথে কথা বলবো।