শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত শিক্ষক জসিম বাঁচতে চায়!

লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত খাসমহল বালুচর স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক (ইংরেজি) মোঃ জসিম বাঁচতে চান। তিনি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের কুসুমপুর গ্রামের মোকাজ্জল দেওয়ানের ছেলে।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারী জসিমের লিভার ক্যান্সার শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে চিকিৎসকরা তাকে অতিদ্রুততার সাথে চিকিৎসা গ্রহণের কথা জানান।  এ অবস্থায় জসিমের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।
“মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না” ভুপেন হাজারিকার এ গানটি প্রায় সময় শোনা গেলেও গানের কথার সাথে বর্তমান সমাজের বাস্তবতার মিল নেই বললেই চলে। মানবতা আজকাল বইয়ের পাতায় গল্প কিংবা কবিতায় শোভা পেলেও মানুষের জন্য মানুষের   উদার মানবতা তেমন লক্ষ করা যায় না। কিন্তু  শিক্ষক জসিমের জন্য মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা বয়রাগাদী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শুভঙ্কর কুন্ডু সহ একঝাঁক তরুন তরুণী তার জ্বলন্ত উদাহরণ। শিক্ষক জসিমের জন্য তাদের মানবিক কর্মকান্ড দেখে মনে হয় মানবতা আজও যেন এ পৃথীবিতে বেঁচে আছে। মানুষের জন্য মানুষের সহানুভূতি আজও যেন কাজ করে।
প্রথমে শিক্ষক শুভঙ্কর কুন্ডু সহকর্মী শিক্ষক জসিমের চিকিৎসার অর্থ যোগান দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।  এরপর তার সাথে নার্গিস, মাহমুদ, সবুজ, মারুফ, ঐশী, আয়েশা আক্তার ও রাজুসহ আরো বেশ কয়েকজন তরুন তরুণী শিক্ষক জসিমের চিকিৎসার অর্থ যোগান দিতে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করেন। তারা উপজেলার বালুচর বাজার, তালতলা বাজার ও ইছাপুর বাজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শিক্ষক জসিমের চিকিৎসার জন্য প্রথম ধাপে  ৬০ হাজার টাকা অনুদান সংগ্রহ করে জসিমের পরিবারের হাতে তুলে দেন। দ্বিতীয় ধাপে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রায় ৮ থেকে ১০ টি সামাজিক সংগঠন সহ আর ২৫ থেকে ৩০ টি সরকারী বেসরকারী বিদ্যালয় থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা অনুদান সংগ্রহ করেন তারা।  দ্বিতীয় ধাপে সংগ্রহ করা অনুদানের টাকা আগামী রবিবার জসিমের পরিবারের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষক শুভঙ্কর কুন্ডু। এদিকে শিক্ষক জসিমকে মুম্বাইয়ের টাটা হাসপাতালে তার চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে শিক্ষক জসিমের চিকিৎসার জন্য যে অনুদান সংগ্রহ করা হয়েছে তা অতি নগন্ন। জসিমের চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০লাখ টাকার প্রয়োজন। যেটি সংগ্রহ করতে না পারলে জসিমের চিকিৎসা সম্পন্ন করা প্রায় অসম্ভব।
স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা তরুন তরুণীসহ জসিমের পরিবারের লোকান সমাজের বিত্তবানদের কাছে জসিমের চিকিৎসা সম্পন্ন করতে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। মানুষ গড়ার কারিগরকে বাঁচাতে আপনার একটু সহানুভূতি আর ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট।
জনপ্রিয়

প্রাক্তনকে বারবার মনে পড়ে কেন? কারণ জেনে নিন

লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত শিক্ষক জসিম বাঁচতে চায়!

প্রকাশের সময় : ০৮:১৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত খাসমহল বালুচর স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক (ইংরেজি) মোঃ জসিম বাঁচতে চান। তিনি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের কুসুমপুর গ্রামের মোকাজ্জল দেওয়ানের ছেলে।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারী জসিমের লিভার ক্যান্সার শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে চিকিৎসকরা তাকে অতিদ্রুততার সাথে চিকিৎসা গ্রহণের কথা জানান।  এ অবস্থায় জসিমের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।
“মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না” ভুপেন হাজারিকার এ গানটি প্রায় সময় শোনা গেলেও গানের কথার সাথে বর্তমান সমাজের বাস্তবতার মিল নেই বললেই চলে। মানবতা আজকাল বইয়ের পাতায় গল্প কিংবা কবিতায় শোভা পেলেও মানুষের জন্য মানুষের   উদার মানবতা তেমন লক্ষ করা যায় না। কিন্তু  শিক্ষক জসিমের জন্য মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা বয়রাগাদী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শুভঙ্কর কুন্ডু সহ একঝাঁক তরুন তরুণী তার জ্বলন্ত উদাহরণ। শিক্ষক জসিমের জন্য তাদের মানবিক কর্মকান্ড দেখে মনে হয় মানবতা আজও যেন এ পৃথীবিতে বেঁচে আছে। মানুষের জন্য মানুষের সহানুভূতি আজও যেন কাজ করে।
প্রথমে শিক্ষক শুভঙ্কর কুন্ডু সহকর্মী শিক্ষক জসিমের চিকিৎসার অর্থ যোগান দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।  এরপর তার সাথে নার্গিস, মাহমুদ, সবুজ, মারুফ, ঐশী, আয়েশা আক্তার ও রাজুসহ আরো বেশ কয়েকজন তরুন তরুণী শিক্ষক জসিমের চিকিৎসার অর্থ যোগান দিতে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করেন। তারা উপজেলার বালুচর বাজার, তালতলা বাজার ও ইছাপুর বাজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শিক্ষক জসিমের চিকিৎসার জন্য প্রথম ধাপে  ৬০ হাজার টাকা অনুদান সংগ্রহ করে জসিমের পরিবারের হাতে তুলে দেন। দ্বিতীয় ধাপে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রায় ৮ থেকে ১০ টি সামাজিক সংগঠন সহ আর ২৫ থেকে ৩০ টি সরকারী বেসরকারী বিদ্যালয় থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা অনুদান সংগ্রহ করেন তারা।  দ্বিতীয় ধাপে সংগ্রহ করা অনুদানের টাকা আগামী রবিবার জসিমের পরিবারের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষক শুভঙ্কর কুন্ডু। এদিকে শিক্ষক জসিমকে মুম্বাইয়ের টাটা হাসপাতালে তার চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে শিক্ষক জসিমের চিকিৎসার জন্য যে অনুদান সংগ্রহ করা হয়েছে তা অতি নগন্ন। জসিমের চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০লাখ টাকার প্রয়োজন। যেটি সংগ্রহ করতে না পারলে জসিমের চিকিৎসা সম্পন্ন করা প্রায় অসম্ভব।
স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা তরুন তরুণীসহ জসিমের পরিবারের লোকান সমাজের বিত্তবানদের কাছে জসিমের চিকিৎসা সম্পন্ন করতে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। মানুষ গড়ার কারিগরকে বাঁচাতে আপনার একটু সহানুভূতি আর ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট।