শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক

ছবি-সংগৃহীত

এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক আজ স্বজনদের কাছে ফিরলেন। এর আগে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙর করে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হয়। এখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়ি ফিরবেন।

নাবিকদের বরণ করে নিতে বন্দর জেটিতে বিকেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল। এ সময় নাবিকদের স্বজন ও কেএসআরএম গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল।

কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ৫৬ হাজার টন পণ্য চুনাপাথর রয়েছে। এতে প্রায় ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতার পরিমাপ) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার। জাহাজটির ড্রাফট বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাস করে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হয়। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে। এ জন্য দেশে পৌঁছার পরও নাবিকদের ঘরে ফিরতে একটু সময় লাগেছে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

জনপ্রিয়

ভাড়া গাড়ীতে প্রেসের স্টিকার, ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক

প্রকাশের সময় : ০৫:২৮:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক আজ স্বজনদের কাছে ফিরলেন। এর আগে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙর করে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হয়। এখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়ি ফিরবেন।

নাবিকদের বরণ করে নিতে বন্দর জেটিতে বিকেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল। এ সময় নাবিকদের স্বজন ও কেএসআরএম গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল।

কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ৫৬ হাজার টন পণ্য চুনাপাথর রয়েছে। এতে প্রায় ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতার পরিমাপ) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার। জাহাজটির ড্রাফট বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাস করে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হয়। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে। এ জন্য দেশে পৌঁছার পরও নাবিকদের ঘরে ফিরতে একটু সময় লাগেছে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।