ভারতের সঙ্গে অভিন্ন সব নদীর পানিতে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে সোচ্চার হতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছে ভয়েস অব কনসাস ওমেনস্সি (VCW) ।
বুধবার (১৫ মে) “১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৪৮তম বার্ষিকী” উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের চেয়ারপার্সন মিতা রহমান এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালের এই দিনে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ভারতের ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পদ্মা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ফারাক্কা অভিমুখে লাখো জনতা নিয়ে লংমার্চ করেন। এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ সাড়া ফেলেছিল। এই বাঁধের কারণে বাংলাদেশ দুর্দশার কবলে পড়বে তা বুঝতে পেরেছিলেন দূরদর্শী ভাসানী।
ভারত প্রতিনিয়ত বাঁধ, বাধা দিয়ে আমাদের চতুর্দিকে পানি আটকে রেখেছে অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, পানি আটকে রাখার কারণে সাধারণ মানুষ, কৃষকরা কষ্ট পাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ফারাক্কার ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হবে।
মিতা রহমান বলেন, ফারাক্কার পানির ন্যায্য হিস্যার আন্দোলনের এক দফা দাবি নিয়ে সবাই একত্র হোন। দেশের সব শ্রেণির মানুষ এতে উপকৃত হবে। জনতার শক্তির কাছে ভারত কিছু না। ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে, অভিন্ন নদী গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছে না বাংলাদেশ। ’৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী যতটুকু পানি পাওয়ার কথা ততটুকু পানি কখনোই বাংলাদেশকে দিচ্ছে না ভারত।
তিনি বলেন, উজানে পানি সরিয়ে নেয়ার এ কাজটি ভারত করে অবৈধভাবে। কারণ, আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি অনুযায়ী, যৌথ নদীর পানি একতরফাভাবে সরিয়ে নেয়া বেআইনি। দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কও এই বেআইনি কাজ থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তিস্তার পানি নিয়ে দেশটি যে টালবাহানা করছে তাতেও প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, ভারত বাংলাদেশকে যুগের পর যুগ কি বঞ্চিত করে যাবে?
তিনি বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী গঙ্গার পানি প্রত্যাহারের ভয়াবহ পরিনতি বুঝেই ফারাক্কা লং মার্চের ডাক দিয়েছিলেন। অভিন্ন নদীর পানির উপর ন্যায্য হিস্যা পাওয়া কারও দয়া নয়, বাংলাদেশের অধিকার। সমতা, ন্যায্যতা ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভারতের কাছ থেকে পানির হিস্যা আদায় করুন।