বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্টাডি টেবিল সাজাবেন যে ভাবে

পড়াশোনা থেকে অফিসের কাজ, সবই করতে হয় স্টাডি টেবলে বসে। সেটাকে গুছিয়ে না রাখলে ঠিক করে কাজটাই বা হবে কী করে?ঘরের কোণে ওই একটা টেবল, সেখানেই অফিসের কাজ থেকে পড়াশোনা, সবকিছু। একপাশে রাখা প্রিয় গল্পের বই তো অন্য কোনায় সাজানো ফোটো ফ্রেম। আর এসবের মাঝে রোজ জমছে প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয় নানা জিনিস। পুরনো কাগজপত্র, ফাইল থেকে কালি ফুরিয়ে যাওয়া পেন, কী নেই সে টেবলে! এমন অবস্থা, যে দরকারি জিনিসগুলোই খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই এই স্টাডি টেবল বা ওয়র্ক টেবলটাকে তো গুছিয়ে রাখতেই হবে! রইল তারই টিপ্‌স।

প্রথমেই স্টাডি টেবলটা পরিষ্কার করে ফেলুন। টেবলের উপরে বা ড্রয়ারে, যেখানে যা জিনিস আছে, চোখ বন্ধ করে সরিয়ে ফেলুন সব। এবার বুঝতে পারছেন তো, টেবলটায় আসলে কত জায়গা! টেবল খালি থাকার সুযোগে ভাল করে মুছে নিন পুরোটা।

এবার বসে পড়ুন টেবলে এতদিন ধরে থাকা জিনিসগুলো নিয়ে। যেগুলো প্রয়োজন নেই সেগুলো আর দ্বিতীয়বার না ভেবে পাঠিয়ে দিন ডাস্টবিনে!

আপনার কম্পিউটারটা যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক, টেবলের পুরো জায়গাটা তাকেই দিয়ে দেবেন না। কিছুটা জায়গা রাখুন পড়ার ও লেখার জন্যও। একপাশে রাখতে পারেন একটা টেবল ক্যালেন্ডার।

স্টাডি টেবলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আলোর ব্যবহার। লেখা বা পড়ার জন্য যে জায়গাটা রেখেছেন তার পাশেই রাখুন একটা ছোট টেবল ল্যাম্প। ফোল্ডেবল ল্যাম্প রাখলে বাঁচবে কিছুটা জায়গাও।

এবার বাকি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোকে সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়ার পালা। এমনভাবে সাজাতে হবে, যেন সমস্ত জিনিস খুঁজে পাওয়া যায় সহজেই। পেনসিল, পেন ও হাইলাইটারগুলোকে রাখুন একটা পেনস্ট্যান্ড বা কাপের মধ্যে। কার্ড, স্টিকি নোট্‌স, ক্যালকুলেটর, স্টেপলার, পেপার ক্লিপ ইত্যাদির জন্য করতে পারেন আলাদা-আলাদা বাক্স বা বিন। কাগজ ও ফাইল ভাগ করে রাখুন আলাদা ড্রয়ারে। রাখতে পারেন একটা ডেস্ক অর্গানাইজ়ারও। এগুলিতে স্টাডি টেব্‌লের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি রাখার মতো আলাদা-আলাদা খোপ করাই থাকে।

টেবলের পাশেই রাখুন ওয়েস্ট পেপার বাস্কেট। যখনই যে জিনিসটার প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে সেটা ফেলে দিন তাতে। তাহলে অপ্রয়োজনীয় জিনিসে টেবলটা ভরেও উঠবে না আর।

কাজের জায়গা মানেই যে বোরিং হতে হবে, তার তো কোনও মানে নেই! বরং কাজের জিনিসগুলোও বাছুন আপনার পছন্দের রং ও প্যাটার্নের। টেবলের এক কোনে ফোটো ফ্রেমে সাজিয়ে রাখুন প্রিয় কোনও ছবি, স্টিকি নোটে পছন্দের কোট লিখে আটকে রাখুন আর এক দিকে। জায়গা থাকলে টবে ছোট্ট একটা ইনডোর প্ল্যান্টও রাখতে পারেন টেবলে। কাজের টেবলটা আনন্দে ভরা হলে কাজের উৎসাহও দ্বিগুণ হয়ে যাবে নিঃসন্দেহে! সুত্র:- সানন্দা

জনপ্রিয়

গণমাধ্যম অভূতপূর্ব স্বাধীনতা ভোগ করছে: প্রেস সচিব

স্টাডি টেবিল সাজাবেন যে ভাবে

প্রকাশের সময় : ১০:২৯:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

পড়াশোনা থেকে অফিসের কাজ, সবই করতে হয় স্টাডি টেবলে বসে। সেটাকে গুছিয়ে না রাখলে ঠিক করে কাজটাই বা হবে কী করে?ঘরের কোণে ওই একটা টেবল, সেখানেই অফিসের কাজ থেকে পড়াশোনা, সবকিছু। একপাশে রাখা প্রিয় গল্পের বই তো অন্য কোনায় সাজানো ফোটো ফ্রেম। আর এসবের মাঝে রোজ জমছে প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয় নানা জিনিস। পুরনো কাগজপত্র, ফাইল থেকে কালি ফুরিয়ে যাওয়া পেন, কী নেই সে টেবলে! এমন অবস্থা, যে দরকারি জিনিসগুলোই খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই এই স্টাডি টেবল বা ওয়র্ক টেবলটাকে তো গুছিয়ে রাখতেই হবে! রইল তারই টিপ্‌স।

প্রথমেই স্টাডি টেবলটা পরিষ্কার করে ফেলুন। টেবলের উপরে বা ড্রয়ারে, যেখানে যা জিনিস আছে, চোখ বন্ধ করে সরিয়ে ফেলুন সব। এবার বুঝতে পারছেন তো, টেবলটায় আসলে কত জায়গা! টেবল খালি থাকার সুযোগে ভাল করে মুছে নিন পুরোটা।

এবার বসে পড়ুন টেবলে এতদিন ধরে থাকা জিনিসগুলো নিয়ে। যেগুলো প্রয়োজন নেই সেগুলো আর দ্বিতীয়বার না ভেবে পাঠিয়ে দিন ডাস্টবিনে!

আপনার কম্পিউটারটা যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক, টেবলের পুরো জায়গাটা তাকেই দিয়ে দেবেন না। কিছুটা জায়গা রাখুন পড়ার ও লেখার জন্যও। একপাশে রাখতে পারেন একটা টেবল ক্যালেন্ডার।

স্টাডি টেবলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আলোর ব্যবহার। লেখা বা পড়ার জন্য যে জায়গাটা রেখেছেন তার পাশেই রাখুন একটা ছোট টেবল ল্যাম্প। ফোল্ডেবল ল্যাম্প রাখলে বাঁচবে কিছুটা জায়গাও।

এবার বাকি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোকে সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়ার পালা। এমনভাবে সাজাতে হবে, যেন সমস্ত জিনিস খুঁজে পাওয়া যায় সহজেই। পেনসিল, পেন ও হাইলাইটারগুলোকে রাখুন একটা পেনস্ট্যান্ড বা কাপের মধ্যে। কার্ড, স্টিকি নোট্‌স, ক্যালকুলেটর, স্টেপলার, পেপার ক্লিপ ইত্যাদির জন্য করতে পারেন আলাদা-আলাদা বাক্স বা বিন। কাগজ ও ফাইল ভাগ করে রাখুন আলাদা ড্রয়ারে। রাখতে পারেন একটা ডেস্ক অর্গানাইজ়ারও। এগুলিতে স্টাডি টেব্‌লের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি রাখার মতো আলাদা-আলাদা খোপ করাই থাকে।

টেবলের পাশেই রাখুন ওয়েস্ট পেপার বাস্কেট। যখনই যে জিনিসটার প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে সেটা ফেলে দিন তাতে। তাহলে অপ্রয়োজনীয় জিনিসে টেবলটা ভরেও উঠবে না আর।

কাজের জায়গা মানেই যে বোরিং হতে হবে, তার তো কোনও মানে নেই! বরং কাজের জিনিসগুলোও বাছুন আপনার পছন্দের রং ও প্যাটার্নের। টেবলের এক কোনে ফোটো ফ্রেমে সাজিয়ে রাখুন প্রিয় কোনও ছবি, স্টিকি নোটে পছন্দের কোট লিখে আটকে রাখুন আর এক দিকে। জায়গা থাকলে টবে ছোট্ট একটা ইনডোর প্ল্যান্টও রাখতে পারেন টেবলে। কাজের টেবলটা আনন্দে ভরা হলে কাজের উৎসাহও দ্বিগুণ হয়ে যাবে নিঃসন্দেহে! সুত্র:- সানন্দা