শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গরমে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠান্ডা রাখুন

গরমে হাঁসফাস অবস্থা থেকে রেহাই পেতে আপনার ঘরকে করে তুলুন সামার ফ্রেন্ডলি। এসি ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠান্ডা রাখার পরামর্শ রইল আপনার জন্য।

বাইরে প্রখর তাপ। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। অস্বস্তির পারদ বাড়ছে চড়চড়িয়ে। ঘরের ভিতরও প্রবল গরম। সুরাহা বলতে এসি। কিন্তু সবসময় তো এসি চালানো সম্ভব নয়। তাছাড়া অনেক বাড়িতেই শুধুমাত্র বেডরুমেই এসি লাগানো থাকে। বাকি ঘরে সেই গরমের দাপট। আর এখন তো নেহাত প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বেরনোও নেই। তাহলে উপায়? চিন্তা নেই। একটু মাথা খাটালে ঘরকে প্রাকৃতিকভাবেই ঠান্ডা রাখতে পারবেন। সিক্রেট টিপস রইল আপনার জন্য।

ঘরে দুটো লেয়ার পর্দা ব্যবহার করুন। যে কোনও হালকা রঙের সুতি বা নেটের পরদা ভিতরের দিকে রাখুন। তার ওপরে ভারী পর্দা রাখুন। দুপুরবেলা রোদ বাড়তে শুরু করলে দুটো পর্দাই টেনে দিন। ঘর ঠান্ডা থাকবে। সন্ধেবেলা ভারী পরদা সরিয়ে বেঁধে রাখুন। ঘরে হাওয়া আসতে দিন। বিকেলবেলা জানলার স্ল্যাব মুছে দিন। ঘর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে।

বেডরুমে অকারণে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অন করে রাখবেন না। এতে ঘর গরম হয়ে যায়। ফোন চার্জ দেওয়া হয়ে গেলে সুইচ অফ করে রাখুন। পড়াশোনার দরকার না থাকলে ঘরে জোরালো আলো বা টিউবলাইটের বদলে অল্প পাওয়ারের আলো জ্বেলে রাখুন। সাধারণ বাল্ব বা টিউবে ঘর বেশি গরম হয়। এর বদলে এলইডি বাল্ব ব্যবহার করতে পারেন। ড্রইংরুমে হালকা হলুদ আলো বা টেবলল্যাম্পের নরম আলো দেখতে যেমন ভাল লাগে তেমনই ঘরও বেশ ঠান্ডা রাখে।

বেডরুমে লিনেন বা সুতির বেডশিট ব্যবহার করুন। খুব গাঢ় রং কিংবা ভারী কাজ সিল্ক বা যে কোনও মোটা ফ্যাব্রিকের বদলে প্যাস্টেল শেডের এর চাদর বেছে নিতে পারেন। সাদা বেড শিটের ওপরে হালকা রঙের বেডকভার বিছিয়ে দিন। বালিশ ও কুশনের জন্য বেছে নিন একই রঙের নানা টেক্সচারের কভার। দেখতে ভাল লাগবে। চোখের পক্ষে আরামদায়ক।

ড্রইংরুমে বড় কার্পেট বা বেডরুমে ভারী রাগ থাকলে গরমের সময় তুলে রাখুন। ঘর বড় দেখাবে, হাঁটার পক্ষেও আরামদায়ক হবে। ড্রইংরুম একটু অন্যরকম সাজাতে চাইলে মেঝেতে জুটের বা মাদুরের লম্বা চাটাই পেতে দিন। কুশন এবং গদি দিয়ে মেঝেতে লো সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট করুন। গরমে বসতে আরাম হবে।

ছাদের তলার ঘর বা টপ ফ্লোর ফ্ল্যাটে ঘর বেশি গরম হয়। ছাদে শেড লাগাতে পারলে খুব ভাল হয়। এতে ছাদ ভাল থাকে আবার ঘরও ঠান্ডা হয়। শেড না থাকলে দুপুরের দিকে সিলিং ফ্যানের বদলে টেবলফ্যান ব্যবহার করুন। সিলিংফ্যান উপরের গরম হাওয়া টেনে নামায়, ফলে আরও বেশি গরম লাগে। বাটিতে বরফের কিছু টুকরো টেবলফ্যানের সামনে রেখে ফ্যান চালান। এতে ঘর বেশ ঠান্ডা হবে। তবে হিউমিডিটি খুব বেশি থাকলে এই প্রক্রিয়া কাজ দেবে না। সন্ধেবেলা বা রাতে জানলার কাছে টেবলফ্যান চালান। বাইরের ঠান্ডা হাওয়া ঘরে আসবে।

ইনডোর প্ল্যান্টের শখ আছে? বাড়িতে রাখুন অ্যালোভেরা, বস্টন ফার্ন, উইপিং ফিগ, অ্যারিকা পাম গাছ। এই ধরনের গাছ ঘর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

ঘর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি শরীরও ঠান্ডা রাখুন। আইস কিউব ট্রে-তে পুদিনাপাতা, আদাকুচি বা লেবুর ছোট ছোট স্লাইস রেখে জল ভরে দিন। শরবতের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে ভাল লাগবে। চিনি ও জল ফুটিয়ে ফ্রিজে রাখুন। ইচ্ছে হলে চটজলদি লেমনেড বা আইসড টি তৈরি করে নিতে পারবেন। সুত্র:-সানন্দা

জনপ্রিয়

ভাড়া গাড়ীতে প্রেসের স্টিকার, ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

গরমে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠান্ডা রাখুন

প্রকাশের সময় : ১০:৪০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

গরমে হাঁসফাস অবস্থা থেকে রেহাই পেতে আপনার ঘরকে করে তুলুন সামার ফ্রেন্ডলি। এসি ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠান্ডা রাখার পরামর্শ রইল আপনার জন্য।

বাইরে প্রখর তাপ। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। অস্বস্তির পারদ বাড়ছে চড়চড়িয়ে। ঘরের ভিতরও প্রবল গরম। সুরাহা বলতে এসি। কিন্তু সবসময় তো এসি চালানো সম্ভব নয়। তাছাড়া অনেক বাড়িতেই শুধুমাত্র বেডরুমেই এসি লাগানো থাকে। বাকি ঘরে সেই গরমের দাপট। আর এখন তো নেহাত প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বেরনোও নেই। তাহলে উপায়? চিন্তা নেই। একটু মাথা খাটালে ঘরকে প্রাকৃতিকভাবেই ঠান্ডা রাখতে পারবেন। সিক্রেট টিপস রইল আপনার জন্য।

ঘরে দুটো লেয়ার পর্দা ব্যবহার করুন। যে কোনও হালকা রঙের সুতি বা নেটের পরদা ভিতরের দিকে রাখুন। তার ওপরে ভারী পর্দা রাখুন। দুপুরবেলা রোদ বাড়তে শুরু করলে দুটো পর্দাই টেনে দিন। ঘর ঠান্ডা থাকবে। সন্ধেবেলা ভারী পরদা সরিয়ে বেঁধে রাখুন। ঘরে হাওয়া আসতে দিন। বিকেলবেলা জানলার স্ল্যাব মুছে দিন। ঘর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে।

বেডরুমে অকারণে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অন করে রাখবেন না। এতে ঘর গরম হয়ে যায়। ফোন চার্জ দেওয়া হয়ে গেলে সুইচ অফ করে রাখুন। পড়াশোনার দরকার না থাকলে ঘরে জোরালো আলো বা টিউবলাইটের বদলে অল্প পাওয়ারের আলো জ্বেলে রাখুন। সাধারণ বাল্ব বা টিউবে ঘর বেশি গরম হয়। এর বদলে এলইডি বাল্ব ব্যবহার করতে পারেন। ড্রইংরুমে হালকা হলুদ আলো বা টেবলল্যাম্পের নরম আলো দেখতে যেমন ভাল লাগে তেমনই ঘরও বেশ ঠান্ডা রাখে।

বেডরুমে লিনেন বা সুতির বেডশিট ব্যবহার করুন। খুব গাঢ় রং কিংবা ভারী কাজ সিল্ক বা যে কোনও মোটা ফ্যাব্রিকের বদলে প্যাস্টেল শেডের এর চাদর বেছে নিতে পারেন। সাদা বেড শিটের ওপরে হালকা রঙের বেডকভার বিছিয়ে দিন। বালিশ ও কুশনের জন্য বেছে নিন একই রঙের নানা টেক্সচারের কভার। দেখতে ভাল লাগবে। চোখের পক্ষে আরামদায়ক।

ড্রইংরুমে বড় কার্পেট বা বেডরুমে ভারী রাগ থাকলে গরমের সময় তুলে রাখুন। ঘর বড় দেখাবে, হাঁটার পক্ষেও আরামদায়ক হবে। ড্রইংরুম একটু অন্যরকম সাজাতে চাইলে মেঝেতে জুটের বা মাদুরের লম্বা চাটাই পেতে দিন। কুশন এবং গদি দিয়ে মেঝেতে লো সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট করুন। গরমে বসতে আরাম হবে।

ছাদের তলার ঘর বা টপ ফ্লোর ফ্ল্যাটে ঘর বেশি গরম হয়। ছাদে শেড লাগাতে পারলে খুব ভাল হয়। এতে ছাদ ভাল থাকে আবার ঘরও ঠান্ডা হয়। শেড না থাকলে দুপুরের দিকে সিলিং ফ্যানের বদলে টেবলফ্যান ব্যবহার করুন। সিলিংফ্যান উপরের গরম হাওয়া টেনে নামায়, ফলে আরও বেশি গরম লাগে। বাটিতে বরফের কিছু টুকরো টেবলফ্যানের সামনে রেখে ফ্যান চালান। এতে ঘর বেশ ঠান্ডা হবে। তবে হিউমিডিটি খুব বেশি থাকলে এই প্রক্রিয়া কাজ দেবে না। সন্ধেবেলা বা রাতে জানলার কাছে টেবলফ্যান চালান। বাইরের ঠান্ডা হাওয়া ঘরে আসবে।

ইনডোর প্ল্যান্টের শখ আছে? বাড়িতে রাখুন অ্যালোভেরা, বস্টন ফার্ন, উইপিং ফিগ, অ্যারিকা পাম গাছ। এই ধরনের গাছ ঘর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

ঘর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি শরীরও ঠান্ডা রাখুন। আইস কিউব ট্রে-তে পুদিনাপাতা, আদাকুচি বা লেবুর ছোট ছোট স্লাইস রেখে জল ভরে দিন। শরবতের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে ভাল লাগবে। চিনি ও জল ফুটিয়ে ফ্রিজে রাখুন। ইচ্ছে হলে চটজলদি লেমনেড বা আইসড টি তৈরি করে নিতে পারবেন। সুত্র:-সানন্দা