
ভারতে এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি ও কেরালার ওয়ানাড় দুই জায়গা থেকেই বিপুল ভোটে জিতেছিলেন। এর মধ্যে রায়বেরিলি থেকে তিনি জিতেছেন তিন লাখ ৯০ হাজার ৩০ ভোটের ব্যবধানে। আর ওয়ানাড় থেকে তিনি জিতেছিলেন তিন লাখ ৬৪ হাজার ৪২২ ভোটে।
নিয়ম অনুযায়ী, দুইটি কেন্দ্রের মধ্যে একটি ছেড়ে দিতে হতো রাহুলকে। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি ঘোষণা করেছেন, তিনি রায়বেরিলি রাখছেন, ওয়ানাড় ছেড়ে দিচ্ছেন। সেখান থেকে বোন প্রিয়াঙ্কা লড়বেন। আর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে এক জল্পনার অবসান হলো, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নির্বাচনে লড়বেন।
রাহুল জানিয়েছেন, তিনি সাংসদ না থাকলেও আগের মতো বারবার ওয়ানাড় যাবেন। আর বোন প্রিয়াঙ্কা তো থাকবেনই। আর প্রিয়াঙ্কা দীর্ঘদিীন ধরে রায়বেরিলিতে কাজ করেছেন। ফলে দুই কেন্দ্রের মানুষ কার্যত দুইজন করে সাংসদ পাবেন।
প্রায় প্রতিটি লোকসভাতেইপ্রিয়াঙ্কাকে নিয়ম করে একটা প্রশ্ন শুনতে হতো, সেটা হলো, তিনি কি এবার ভোটে লড়ছেন? আর প্রতিবার নিয়ম করে প্রিয়াঙ্কা একটাই জবাব দিতেন, তার ভোটে দাড়ানোর কোনো ইচ্ছে নেই। প্রতিবার মায়ের কেন্দ্র রায়বেরিলি ও ভাইয়ের সাবেক কেন্দ্র আমেঠির জন্য কাজ করতেন তিনি। বস্তুত, এই দুইটি কেন্দ্রর দেখভালও তিনিই করতেন।
এবার সেই প্রিয়াঙ্কা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন, সেটাও কেরালা থেকে। রাহুলের জিতে আসা কেন্দ্রে প্রিয়াঙ্কা লড়বেন। কংগ্রেসের কাছে এই কেন্দ্রে গান্ধী পরিবারের কাউকে রাখা জরুরি ছিল। কারণ, ২০২৬ সালে কেরালায় বিধানসভা নির্বাচন। বামেদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ার আশা করছে কংগ্রেস। সেখানে তারা এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে চাননি, যার জন্য মানুষ তাদের উপর বিন্দুমাত্র ক্ষুব্ধ হন। রাহুলের জায়গায় তাই প্রিয়াঙ্কাকে দাঁড় করানো হয়েছে।
বিজেপি অবশ্য এই ঘোষণার পরেই আবার কংগ্রেসের পরিবারবাদ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho