
আওয়ামী লীগের দুর্নীতি আলি বাবার চল্লিশ চোরের গল্পও হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের টাউন হল ময়দানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির সমাবেশে বৃষ্টিতে ভিজেই নেতাকর্মীরা অংশ নেন। দীর্ঘদিন পর জেলা বিএনপির এ সমাবেশে ব্যাপকসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মাঠে ছিলেন নারী কর্মীরাও। ঘণ্টাব্যাপী বৃষ্টিতে ভিজেই তারা টাউন হল ময়দানে সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তৃতা শুনেছেন।
সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, অনিয়ম করে বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। খালেদা জিয়ার অপর নাম গণতন্ত্র। খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে জনগণ মুক্তি পাবে।
সীমান্ত হত্যার সমালোচনা করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, প্রতিদিনই সীমান্তে হত্যা হচ্ছে। সেই সীমান্ত রক্ষায় বাহিনী ছিল বিডিআর রাইফেল। এখন রাইফেল শেখ হাসিনা ঘরে তুলে দিয়েছেন। এখন নাম দিয়েছেন বর্ডার গার্ড। গার্ডদের কোনো অর্ডার নাই গুলি করার। ওনারা গুলি করবে, আর আমরা খাব। কেন তাহলে সীমান্ত রক্ষী রাখতে হচ্ছে। হাতে হারিকেন দিয়ে চৌকিদার রাখতে পারতেন! কেন আমরা হাজার হাজার টাকার অস্ত্র কিনি। অস্ত্র কিনি আমার দেশ রক্ষা, দেশের মানুষের রক্ষার জন্য। অস্ত্রের ব্যবহার যদি না করতে পারি, তাহলে কিনব কেন। এত স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক তাহলে সীমান্তে এতো হত্যা কেন। জিয়াউর রহমানের সময়ে পারেনি, বেগম জিয়ার সময়ে তো পারেনি। তাহলে আপনার সময়ে কেন এত হত্যা। আজ ব্যাঙও ঠ্যাং মেলে এ সরকারের বিরুদ্ধে। কারণ এই সরকার ব্যস্ত লুটপাটে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে বিদেশ যাচ্ছে। সেই লুটপাটের টাকা ঘুস দিলে সব মাফ করে দেওয়ার ব্যবস্থাও রেখেছে এই সরকার।
সরকারের উন্নয়ন আর দুর্নীতির সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, উন্নয়ন তো দয়ার দান নয়। উন্নয়ন কি রিলিফ জনগণের কাছে? উন্নয়ন জনগণের অধিকার। জনগণের টাকায় এই উন্নয়ন হয়। উন্নয়নের কথা বলে একেটা প্রজেক্টের নামে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে। এই লুটপাট কারা করেছে। শেখ হাসিনার সরকার ও তার মাফিয়ারা। এই মাফিয়ার সর্দার কে? শেখ হাসিনা। এই সরকারের কাছে অর্থনীতি বলে কোন নীতি নাই। এই সরকারের আছে শুধু দুর্নীতি। এই মাফিয়া আর দুর্নীতির সরকার ব্যবস্থা জনগণের মঙ্গল তো দূরের কথা, দেশটাও রক্ষা করতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেরা নাজমুল মুন্নী, আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সদস্য মিজানুর রহমান খান, আব্দুস সামাদ আজাদ প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho