
ইসরায়েলের এলিট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ ‘ইউনিট ৮২০০’-এর প্রধান পদত্যাগ করেছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার বলেছে যে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য একটি অভিজাত গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধান পদত্যাগ করবেন।-এনডিটিভি
সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “৮২০০ ইউনিটের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়োসি সারিয়েল তার কমান্ডার এবং অধস্তনদের তার পদত্যাগ করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
এই অফিসার অদূর ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীতে তার ভূমিকার ইতি টানবেন।
মর্যাদাপূর্ণ এবং গোপনীয় ইউনিট ৮২০০ ডিকোডিং এবং ইন্টারসেপ্ট এবং অন্যান্য সংকেত বুদ্ধিমত্তা বিশ্লেষণের দায়িত্বে রয়েছে। ৭ অক্টোবরের পরিপ্রেক্ষিতে, ইস্রায়েলের সামরিক গোয়েন্দা অধিদপ্তর একটি সংকটের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। যার ফলে এর কমান্ডার মেজর জেনারেল অ্যাহারন হালিভা ২০২৪ সালের এপ্রিল-এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
সেনাবাহিনী তখন বলেছিল যে, হালিভা ৭ অক্টোবরের হামলা বানচাল করতে অধিদপ্তরের ব্যর্থতার জন্য তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিল। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি মিডিয়া সারিয়েলের পদত্যাগপত্রের একটি অনুলিপি সম্প্রচার করেছে, যাতে তিনি ৭ অক্টোবর তাদের উপর অর্পিত মিশনটি পূরণ না করার জন্য” “ক্ষমা” চেয়েছিলেন।
জুন মাসে পাবলিক ব্রডকাস্টার কান ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইউনিট ৮২০০ দ্বারা প্রস্তুত করা একটি গোয়েন্দা ব্রিফের অস্তিত্ব প্রকাশ করে, যা হামলার জন্য হামাসের প্রস্তুতি সম্পর্কে সামরিক কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছিল। কান বলেন, ইউনিট ৮২০০ নথিতে জিম্মি করার জন্য অভিজাত হামাস যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ এবং দক্ষিণ ইসরায়েলে সামরিক অবস্থান ও ইসরায়েলি সম্প্রদায়ের উপর অভিযান চালানোর পরিকল্পনার বিবরণ রয়েছে।
ইসরায়েলি সরকারের দেয়া পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এএফপির তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবরের হামলার ফলে ১২০৫ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। সেই গণনায় জিম্মিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যারা বন্দী অবস্থায় নিহত হয়েছে।
অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৪১ হাজার ১১৮ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলছে, নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।