শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের হামলা, লেবাননজুড়ে ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত

ছবি-সংগৃহীত

ইসরায়েলের বিমান হামলার কারণে লেবাননজুড়ে ১০ লাখ মানুষ তাদের বসতবাড়ি থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। তিনি বলেছেন, এটিই লেবাননে সবচেয়ে বৃহৎ বাস্তুচ্যুতির ঘটনা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের ক্রমাগত বোমাবর্ষণে দেশটিটে কমপক্ষে ১শ’ জন নিহত এবং আরও ৩শ’ ৫০ জন আহত হয়েছেন।

এই হামলার বিপরীতে হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি রকেট হামলা চালিয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গ্রুপ হুতিদের লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। দেশটির রাস ইসা ও হোদেইদাহ সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি বিভিন্ন বিদ্যুৎ প্রকল্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ফাইটার জেটের পাশাপাশি কয়েক ডজন আকাশযান অংশ নেয়।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে হুতি সমর্থিত আল মাসিরাহ টিভি জানায়, এ হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে একজন বন্দর কর্মী এবং তিনজন বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রয়েছে।

লেবাননের দক্ষিণ সিডনের কাছে আইন আল-দেলবে একটি হামলায় দুটি আবাসিক ভবনকে সম্পূর্ণ গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ঘটনাস্থালে আশ্রয় নেয়া অনেক বাস্তুচ্যুত পরিবারের সদস্য রয়েছে। লেবানন ইসরায়েলের এই হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ বলে চিন্থিত করেছে।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী মিকাতি বলেছেন, বিমান হামলার ঢেউ বৈরুত ও দক্ষিণ সীমান্তের এলাকাসহ দেশের অন্যান্য অংশ থেকে লোকজনকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র এবং হাসপাতালের সবাইকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করার জন্য লড়াই করছে। উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে সতর্ক করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

জনপ্রিয়

ভূরুঙ্গামারীতে প্রা.বি.সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

ইসরায়েলের হামলা, লেবাননজুড়ে ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত

প্রকাশের সময় : ১২:২৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইসরায়েলের বিমান হামলার কারণে লেবাননজুড়ে ১০ লাখ মানুষ তাদের বসতবাড়ি থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। তিনি বলেছেন, এটিই লেবাননে সবচেয়ে বৃহৎ বাস্তুচ্যুতির ঘটনা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের ক্রমাগত বোমাবর্ষণে দেশটিটে কমপক্ষে ১শ’ জন নিহত এবং আরও ৩শ’ ৫০ জন আহত হয়েছেন।

এই হামলার বিপরীতে হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি রকেট হামলা চালিয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গ্রুপ হুতিদের লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। দেশটির রাস ইসা ও হোদেইদাহ সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি বিভিন্ন বিদ্যুৎ প্রকল্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ফাইটার জেটের পাশাপাশি কয়েক ডজন আকাশযান অংশ নেয়।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে হুতি সমর্থিত আল মাসিরাহ টিভি জানায়, এ হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে একজন বন্দর কর্মী এবং তিনজন বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রয়েছে।

লেবাননের দক্ষিণ সিডনের কাছে আইন আল-দেলবে একটি হামলায় দুটি আবাসিক ভবনকে সম্পূর্ণ গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ঘটনাস্থালে আশ্রয় নেয়া অনেক বাস্তুচ্যুত পরিবারের সদস্য রয়েছে। লেবানন ইসরায়েলের এই হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ বলে চিন্থিত করেছে।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী মিকাতি বলেছেন, বিমান হামলার ঢেউ বৈরুত ও দক্ষিণ সীমান্তের এলাকাসহ দেশের অন্যান্য অংশ থেকে লোকজনকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র এবং হাসপাতালের সবাইকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করার জন্য লড়াই করছে। উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে সতর্ক করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।