পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্গাপূজার পর ছিনতাই, মাদক, চাঁদাবাজি ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হবে। তিনি বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে গত ১ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত দেশে ৪৩টি ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় ১৪টি মামলা, ২৯টি জিডি এবং ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন তিনি।

আইজিপি বলেন, আগামীকাল রবিবার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শেষ হবে। বিসর্জনের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশে ৩২ হাজারের বেশি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। এ পূজা যেন নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে পূজামণ্ডপে প্রায় সোয়া দুই লাখ আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। পুলিশ বাহিনীর ৭৫ হাজার সদস্য প্রত্যক্ষভাবে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনীও মোতায়েন আছে।

ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক চালু রয়েছে। আমরা যখনই পূজা সংক্রান্ত সংবাদ পাচ্ছি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, কোনো ঘটনা ঘটিয়ে কেউ পার পাবে না। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। রাজনৈতিক পরিচয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এ সময় ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।