একটা সম্পর্ক তখন সুন্দর ভাবে চলে যখন দুজন দুজনকে ভালোবাসে এবং সম্মান করে। এর বিপরীতে গেলেই সেই সম্পর্কে থাকার মানে কেবল কষ্ট পাওয়া। প্রায় সময় প্রেমিকাদের অভিযোগ থাকে প্রেমিক তাকে আর আগের মত ভালোবাসে না। সম্পর্ক আর আগের মত নেই। তখন ভালোবাসার অস্তিত্ব নিয়ে শুরু হয় নতুন প্রশ্ন। প্রেমিকার মনে সন্দেহ জাগে প্রেমিক তাকে সত্যি ভালোবাসে কিনা তা নিয়ে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে কিছু লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে, যা বলে দিবে প্রেমিক আপনাকে ভালোবাসে কিনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলেরা তাদের আচরণের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ করে থাকে। তাই একটু নজর দিলেই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

পৌঁছে দেয়া: বেশিরভাগ সময় দেখা যায় ব্যস্ত এই শহরে দুজন মানুষের কর্মক্ষেত্র কিংবা বাসা দুই প্রান্তে। তাই হয়তো আপনাকে নানান ঝামেলাই পড়তে হয়। আর সেই সমাধান এড়াতেই সে প্রায়ই আপনাকে আপনাকে অফিস থেকে পিক করছে। লম্বা সময় গাড়ি চালিয়ে সে আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে। এটা কিন্তু কেবল দায়িত্ব থেকে নয়, তার এই কাজের পেছনে আছে ভালোবাসাও।

ফোন দেয়া: প্রতিদিন হাজারো কাজ নিয়ে আমরা ব্যস্ত থাকি। আর এতো কাজের মাঝেও যখন সে আপনার খোঁজ নিবে তখন এটাকে ভালোবাসার সবুজ সংকেত হিসেবে ধরে নিন। অনেকেই আছেন এসএমএস দিয়ে সঙ্গীর খোঁজ নিয়ে থাকেন। কিন্তু যখন দেখবেন সে ব্যস্ত সময়ের মাঝেও আপনাকে ফোন দিয়ে জানতে চাইছে সব কিছু ঠিক চলছে কিনা তখন এটা ভালোবাসা হিসেবেই
ধরে নিন।  কারণ আপনি তার কাছে স্পেশাল বলেই তার এই ফোন কল।

ছুটির দিনে সময় দেয়া: সারা সপ্তাহ কাজ করার পরেও যখন দেখবেন সে আপনাকে সম দিচ্ছি। কিংবা আপনার প্রিয় সিনেমা দেখাতে নিয়ে যাচ্ছে তখন ভাবনার কিছু নেই। সে ছুটির দিনের সময়টা ভালোবাসে বলেই আপনার সঙ্গে কাটাচ্ছে।

মনোযোগ দিয়ে কথা শোনা: অনেক সময় প্রেমিকাদের অভিযোগ থাকে প্রেমিক তার কথা শুনে না। তার কথা একেবারে এড়িয়ে যায়। এটা সত্যি কোনো ভালো অভ্যাস নয়। যখন আপনি দেখবেন আপনার সঙ্গী আপনার প্রতিটি কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন তখন বুঝবেন সে আপনাকে সত্যি খুব ভালোবাসে। আর সে কারণেই গুরুত্ব দিয়ে আপনার কথা শুনে।

খারাপ সময় পাশে থাকা: জীবন সব সময় একই গতিতে চলে না। সংকটের সময় যারা আমাদের সঙ্গে থাকে তারাই প্রকৃত বন্ধু। যখন দেখবেন সে খারাপ সময়ে আপনাকে একা রেখে চলে যায়নি সেটা ইতিবাচক দিক। ভালোবাসার কারণে সে সব পরিস্থিতিতে আপনার সঙ্গে আছে। সে আপনাকে আগলে রাখতে চায়।