
স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার পর থেকে ফর্মের উত্থান-পতন দেখেছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। সাম্প্রতিক সময়েও তাকে ফর্মে দেখার প্রতীক্ষায় ছিলেন লস ব্লাঙ্কোস সমর্থকরা। এমবাপ্পেও ফিরলেন কাঙ্খিত ফর্মে। ক্লাবের হয়ে লাস পালমাসের বিপক্ষে ঠিক আগের ম্যাচেই তিনি জোড়া গোল করেছিলেন। এবার রিয়ালের জার্সিতে প্রথম হ্যাটট্রিকও পেয়ে গেছেন এমবাপে। লা লিগায় ফরাসি তারকার হ্যাটট্রিকে রিয়াল ভায়োদোলিদকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
এর আগে কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে সেলতা ভিগোর বিপক্ষেও পান গোলের দেখা। পরে চ্যাম্পিয়নস লিগে সালজবুর্গের বিপক্ষেও গোল করেছেন। তাতে যেন মন ভরছে না এই ফরাসি তারকার। এবার সমর্থকদের মন ভরে দিলে একেবারে হ্যাটট্রিক করে।
গতকাল শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে হোসে জোরিয়া স্টেডিয়ামে এমবাপ্পের এই হ্যাটট্রিকেই লা লিগায় রিয়াল ভায়াদোলিদকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ভায়োদোলিদের মাঠ হোস জোরিলা স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে ৩০ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করেন এমবাপে। জুড বেলিংহ্যামের সঙ্গে বল আদান-প্রদান করতে করতে ডি-বক্সের ভেতর প্রবেশ করেন তিনি। এরপর ডান পায়ের দুরন্ত গতির শটে ভায়োদোলিদের জাল কাঁপান এমবাপে।
এমবাপে দ্বিতীয় গোল করেন ৫৭ মিনিটে। রিয়াল মাদ্রিদ কাউন্টার অ্যাটাকে গেলে এক পর্যায়ে বল পান রদ্রিগো। ডি-বক্সের কাছাকাছি গিয়ে এমবাপেকে পাস দেন তিনি। বল পায়ে পেনাল্টি বক্সের বাঁ পাশ থেকে শট নেন এমবাপে। তাতেই পুরোপুরি পরাস্ত হন ভায়োদোলিদের গোলরক্ষক।
শেষ গোলটি হয় পেনাল্টিতে, ৯০ মিনিটে। ডি-বক্সের ভেতর রিয়ালের জুড বেলিংহ্যামকে ট্যাকল দেন ভায়োদোলিদের ফুটবলার মারিও মার্টিন। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে ভিএআরের সহায়তা নেন রেফারি। পরিস্থিতি গভীর পর্যবেক্ষণের পর ফাউলের সঙ্গে মার্টিনকে লাল কার্ডও দেখান। এতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিক ভায়োদোলিদ।
উল্লেখ্য, এই জয়ে লিগের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে আগেই ছিল কার্লো আনচেলত্তির দল, টেবিলের দুই নম্বরে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের চেয়ে তারা এগিয়ে গেল ৪ পয়েন্টে। ২১টি করে ম্যাচ শেষে রিয়ালের পয়েন্ট ৪৯, আতলেতিকোর ৪৫।