
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা হরিণা বাগবাটী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ, গ্রেড পরিবর্তনে স্বজনপ্রীতি, তদন্তের তালিকা ও ভূমিদাতার নাম জালিয়াতি, এমপিও ভুক্তিতে জালিয়াতি, অবৈধ প্রক্রিয়ায় বেতন ভাতা স্থগিত, মৃত ব্যক্তির নাম কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত, নিয়ম বর্হিভূত প্রতিষ্ঠানের জমাকৃত টাকা প্রদান, বিদ্যালয়ের অর্থ অন্যের জমিতে খাজনা প্রদান, অর্থের বিনিময়ে সনদ প্রদান, বিদ্যালয়ে জমি দানে কারচুপি, অডিটে নানা অনিয়ম জালিয়াতি ধরা পরায় খেসারত হিসেবে সকল শিক্ষকের ১মাসের বেতন কর্তনসহ ডজন খানেক বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, হরিণা বাগবাটী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৩সালে প্রতিষ্ঠার পর ভূমি দাতা শামছুল হক গং জমি দান দাখিল করায় নিয়মনীতি অনুসরন করে ১৯৯৭সালে ১ম পর্যায়ে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম ও ২০০৪ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৯ম ও ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত এমপিও ভুক্তি লাভ করে। প্রতিষ্ঠা শুরু থেকেই জমি দাতার নাম পরিবর্তন, বিদ্যালয়ের কমিটি হেরফের, গ্রেড পরিবর্তনে স্বজনপ্রীতি হওয়ায় দফায় দফায় তদন্তে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ মিললেও উল্টো বহাল তবিয়তে দাম্ভিকতার সহিত চাকুরি করে আসছেন প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের জোড়ালো হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় গ্রামবাসী ও শিক্ষকগণ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে এলাকাঘুরে দেখা যায়, ১৯৯৫ সালের মে মাসের ১৬ তারিখে ২৭৪৭ ও ২৭৪৮ নম্বর দলিল মূলে ৭০ শতক জায়গা দান করেন প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম গং। বিদ্যালয়ের জমি ৭৭৭ আর এস দাগে ১৪ শতাংশ কবরস্থানে ও ৬৮১ দাগে ২৩ শতাংশ বাড়ী এবং ১১২ দাগে ৩৭শতক ইছামতি নদী রয়েছে। তাঁর দেওয়া মাত্র ১০শতাংশ জায়গার উপর বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠাকালিন দাতা সদস্য শামছুল গং ২১শতক জমি দেবার পরেও দাতা সদস্য তালিকায় নাম নেই। অথচ প্রতিবছর প্রধান শিক্ষক ভূমি দাতা দাবি করে তার পরিবারের সদস্যদের দাতা সদস্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানে দেওয়া সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত ইছামতি নদী ও দখলকৃত প্রধান শিক্ষকের চাচা আরিফুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানের জমি দখলে ২৩ শতাংশ বাড়ী প্রতিষ্ঠানের অর্থ দিয়ে নির্ধিদ্বায় খাজনা পরিশোধ করে আসছে। প্রধান শিক্ষক নিজ এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে এনিয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
এসব বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।’