শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওয়ালিউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাসের  সন্ধান চায় ইবি শিক্ষার্থীরা

হারুন-অর-রশিদ, ইবি প্রতিনিধি:

এক যুগ আগে ঢাকায় সাভারের আশুলিয়া থেকে গুম হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাসের সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধনে আল ফিকহ অ্যান্ড লিগাল স্টাডিস বিভাগের ২০১৭-১৮  শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম রাফি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার ৫ আগস্ট দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম ওয়ালিউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাস ভাইকে ফিরে পাবো। কিন্তু আমাদেরকে এখনো তাদের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণতে হচ্ছে। ২০১২ সালের আজকের এই দিনে ঢাকার সাভার থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী কিছু মানুষ তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর এক যুগ পার হলেও তারা আর ফেরেনি। ৫ আগষ্টের পর অনেক গুম হওয়া নেতাকর্মী ফিরলেও তাদের কোন সন্ধান মেলেনি । বর্তমান প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, তারা যদি জীবিত থাকে তাদের সন্ধান দিন আর মারা গিয়ে থাকলে তাদের কবরের সন্ধান দিন।

দাওয়াহ এ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল সামাদ বলেন, আমরা আজও ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গুমের শিকার দুই ভাইয়ের সন্ধান করছি, কিন্তু তাদের কোন খোঁজ-খবর পাইনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, তাদের সন্ধানে আপনারা সোচ্চার হোন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে কুষ্টিয়া ফেরার পথে নবীনগর এলাকা থেকে র‍্যাব ও ডিবি পরিচয়ে উঠিয়ে নেওয়া হয় দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ ও আল ফিকহ এ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আল-মুকাদ্দাসকে। এরপর থেকে তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওয়ালীউল্লাহ ছাত্রশিবির ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তৎকালীন অর্থ সম্পাদক এবং মুকাদ্দাস সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি  অস্বীকার করে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ বিভিন্ন সময়ে গুমের শিকার ৭৬ জনের একটি তালিকা দেয় বাংলাদেশ সরকারকে। তালিকায় নাম আছে ওয়ালীউল্লাহ ও মুকাদ্দাসেরও।

জনপ্রিয়

ওয়ালিউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাসের  সন্ধান চায় ইবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশের সময় : ০৪:৫১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হারুন-অর-রশিদ, ইবি প্রতিনিধি:

এক যুগ আগে ঢাকায় সাভারের আশুলিয়া থেকে গুম হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাসের সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধনে আল ফিকহ অ্যান্ড লিগাল স্টাডিস বিভাগের ২০১৭-১৮  শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম রাফি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার ৫ আগস্ট দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম ওয়ালিউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাস ভাইকে ফিরে পাবো। কিন্তু আমাদেরকে এখনো তাদের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণতে হচ্ছে। ২০১২ সালের আজকের এই দিনে ঢাকার সাভার থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী কিছু মানুষ তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর এক যুগ পার হলেও তারা আর ফেরেনি। ৫ আগষ্টের পর অনেক গুম হওয়া নেতাকর্মী ফিরলেও তাদের কোন সন্ধান মেলেনি । বর্তমান প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, তারা যদি জীবিত থাকে তাদের সন্ধান দিন আর মারা গিয়ে থাকলে তাদের কবরের সন্ধান দিন।

দাওয়াহ এ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল সামাদ বলেন, আমরা আজও ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গুমের শিকার দুই ভাইয়ের সন্ধান করছি, কিন্তু তাদের কোন খোঁজ-খবর পাইনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, তাদের সন্ধানে আপনারা সোচ্চার হোন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে কুষ্টিয়া ফেরার পথে নবীনগর এলাকা থেকে র‍্যাব ও ডিবি পরিচয়ে উঠিয়ে নেওয়া হয় দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ ও আল ফিকহ এ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আল-মুকাদ্দাসকে। এরপর থেকে তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওয়ালীউল্লাহ ছাত্রশিবির ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তৎকালীন অর্থ সম্পাদক এবং মুকাদ্দাস সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি  অস্বীকার করে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ বিভিন্ন সময়ে গুমের শিকার ৭৬ জনের একটি তালিকা দেয় বাংলাদেশ সরকারকে। তালিকায় নাম আছে ওয়ালীউল্লাহ ও মুকাদ্দাসেরও।