শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞানকে জনসাধারণের হাতে তুলে দিতে চাই: ড. আবেদ চৌধুরী

জবি প্রতিনিধি 
দেশের আলোচিত পঞ্চব্রীহি ধানের আবিষ্কার ড. আবেদ চৌধুরী বলেছেন – বাংলাদেশে কেউ যদি ভালো কিছু উদ্ভাবন করে তাহলে তার মূল্যয়ন হয় না। এটার উদাহরন আমি নিজেই৷ আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো আমার আইডিয়াগুলো নিয়ে বারবার মন্ত্রনালয়ে যাওয়ার পরও কোন ধরনের সহযোগিতা পাই নি এটা খুবই দুঃখজনক।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অডিটোরিয়ামে গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ সেন্টার (জিএসএসআরসি) আয়োজিত ফুড সিকিউরিটি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আবেদ চৌধুরী বলেন, আপনারা দেখে থাকবেন আমার পেটেন্ট গুলো দেশের বাহিরে থেকে নিবদ্ধকৃত, কিন্ত বাংলাদেশের সরকার আমাদের কোন সাহায্য করেনি অথচ এই গবেষণাটি করার জন্য আমার দেশের গ্রামের এলাকা বেছে নিয়েছি, যাতে আমার দেশ উপকৃত হয়। আমাদের দেশে কেউ ভালো কিছু করলে কেউ মূল্যায়ন করে না, কিন্তু অক্সফোর্ড, হার্ভার্ডের পন্ডিতেরা বললে খুব মূল্যায়ন করে।
তিনি বলেন, আমি অস্ট্রেলিয়াতে থাকতে আগের দিন কল দিলে পরের দিন এমপি মন্ত্রীরা দেখা করার সুযোগ দেয়, অথচ আমাদের মন্ত্রণালয়ে দেখা করতে হয় সচিবদের সাথে, যার আমার কথা শুনে ঘুম আসে, শেষে চা বিস্কিট খাইয়ে বিদায় করে দেয়।
ড. চৌধুরী আরও বলেন, এক আমলে কলোনিয়ালরা বিজ্ঞান কে জনসাধারণ থেকে পৃথক করে বিজ্ঞানীদের হাতে তুলে দিয়েছে, আমরা এখন বিজ্ঞান কে জনসাধারণের হাতে তুলে দিতে চাই। আমরা ডেমোক্রেটাইজেশন অব ইনোভেশনে পঞ্চব্রীহি ধান উদ্ভাবন করেছি, এখন অন্যান্য ফসল যেমন জোয়ান, তিসি, বেগুন, ঢেড়স ইত্যাদি উদ্ভাবন করার চেষ্টা করছি, গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। গত বছর পিতৃহীন বীজ উদ্ভাবন করেছি। আমাদের এই উদ্ভাবন কার্বন ও মিথেন মিটিগেশনে অত্যান্ত সহায়ক।
এ সময় সেমিনারের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ড. আবেদ চৌধুরীর এই উদ্ভাবনকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “পঞ্চব্রীহি ধান দেশের খাদ্যশস্যের উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের দিকে আরও এগিয়ে যাবে।”
গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ সেন্টার (জিএসএসআরসি) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. মো. আনিসুর রহমান সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।
জনপ্রিয়

বিজ্ঞানকে জনসাধারণের হাতে তুলে দিতে চাই: ড. আবেদ চৌধুরী

প্রকাশের সময় : ০৭:৪২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জবি প্রতিনিধি 
দেশের আলোচিত পঞ্চব্রীহি ধানের আবিষ্কার ড. আবেদ চৌধুরী বলেছেন – বাংলাদেশে কেউ যদি ভালো কিছু উদ্ভাবন করে তাহলে তার মূল্যয়ন হয় না। এটার উদাহরন আমি নিজেই৷ আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো আমার আইডিয়াগুলো নিয়ে বারবার মন্ত্রনালয়ে যাওয়ার পরও কোন ধরনের সহযোগিতা পাই নি এটা খুবই দুঃখজনক।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অডিটোরিয়ামে গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ সেন্টার (জিএসএসআরসি) আয়োজিত ফুড সিকিউরিটি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আবেদ চৌধুরী বলেন, আপনারা দেখে থাকবেন আমার পেটেন্ট গুলো দেশের বাহিরে থেকে নিবদ্ধকৃত, কিন্ত বাংলাদেশের সরকার আমাদের কোন সাহায্য করেনি অথচ এই গবেষণাটি করার জন্য আমার দেশের গ্রামের এলাকা বেছে নিয়েছি, যাতে আমার দেশ উপকৃত হয়। আমাদের দেশে কেউ ভালো কিছু করলে কেউ মূল্যায়ন করে না, কিন্তু অক্সফোর্ড, হার্ভার্ডের পন্ডিতেরা বললে খুব মূল্যায়ন করে।
তিনি বলেন, আমি অস্ট্রেলিয়াতে থাকতে আগের দিন কল দিলে পরের দিন এমপি মন্ত্রীরা দেখা করার সুযোগ দেয়, অথচ আমাদের মন্ত্রণালয়ে দেখা করতে হয় সচিবদের সাথে, যার আমার কথা শুনে ঘুম আসে, শেষে চা বিস্কিট খাইয়ে বিদায় করে দেয়।
ড. চৌধুরী আরও বলেন, এক আমলে কলোনিয়ালরা বিজ্ঞান কে জনসাধারণ থেকে পৃথক করে বিজ্ঞানীদের হাতে তুলে দিয়েছে, আমরা এখন বিজ্ঞান কে জনসাধারণের হাতে তুলে দিতে চাই। আমরা ডেমোক্রেটাইজেশন অব ইনোভেশনে পঞ্চব্রীহি ধান উদ্ভাবন করেছি, এখন অন্যান্য ফসল যেমন জোয়ান, তিসি, বেগুন, ঢেড়স ইত্যাদি উদ্ভাবন করার চেষ্টা করছি, গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। গত বছর পিতৃহীন বীজ উদ্ভাবন করেছি। আমাদের এই উদ্ভাবন কার্বন ও মিথেন মিটিগেশনে অত্যান্ত সহায়ক।
এ সময় সেমিনারের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ড. আবেদ চৌধুরীর এই উদ্ভাবনকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “পঞ্চব্রীহি ধান দেশের খাদ্যশস্যের উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের দিকে আরও এগিয়ে যাবে।”
গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ সেন্টার (জিএসএসআরসি) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. মো. আনিসুর রহমান সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।