সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে শান্তি আলোচনায় বসবে: ট্রাম্প

ছবি-সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে শান্তি আলোচনা করবে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ট্রাম্পের ফোনালাপের পর ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে একটি ‘নোংরা চুক্তি’র বিরুদ্ধে কিয়েভ এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা সতর্ক করার পর এ কথা বললেন ট্রাম্প।

তবে ট্রাম্পের একতরফা এই উদ্যোগ এবং ইউক্রেনের প্রধান দাবিগুলোতে ছাড় দেয়ার ইঙ্গিত কিয়েভ ও ন্যাটোর ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তারা আশঙ্কা করছেন, হোয়াইট হাউজ তাদের বাদ দিয়ে চুক্তি করতে পারে।
 
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য রাশিয়ার সাথে যেকোনো শান্তি আলোচনার টেবিলে  বসবে ইউক্রেন।  
 
ট্রাম্প বলেন, ‘ইউক্রেন এর অংশ। আমরা ইউক্রেনকে যেমন আলোচনার টেবিলে পাব তেমনি রাশিয়াকেও পাব। অন্যদেরকেও আমাদের পাশে পাব।’

পুতিনকে বিশ্বাস করেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে তিনি এরকম কিছু একটা ঘটতে দেখতে চান। এই বিষয়ে আমি তাকে বিশ্বাস করি।’

এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, রাশিয়াকে সাত দেশের গ্রুপে (জি-৭) পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে, আমরা আমাদের ছাড়া কোনও চুক্তি মেনে নিতে পারব না।’
 
এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে যে পুতিন এবং ট্রাম্পের বৈঠকের পরিকল্পনা চলছে, সম্ভবত তা সৌদি আরবে হবে। ইউক্রেন ‘অবশ্যই’ শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পথও থাকবে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে যে তারা ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে আলোচনার আয়োজন করতে চায়।
জনপ্রিয়

পলিথিন-প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে বনজীবিদের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে শান্তি আলোচনায় বসবে: ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে শান্তি আলোচনা করবে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ট্রাম্পের ফোনালাপের পর ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে একটি ‘নোংরা চুক্তি’র বিরুদ্ধে কিয়েভ এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা সতর্ক করার পর এ কথা বললেন ট্রাম্প।

তবে ট্রাম্পের একতরফা এই উদ্যোগ এবং ইউক্রেনের প্রধান দাবিগুলোতে ছাড় দেয়ার ইঙ্গিত কিয়েভ ও ন্যাটোর ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তারা আশঙ্কা করছেন, হোয়াইট হাউজ তাদের বাদ দিয়ে চুক্তি করতে পারে।
 
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য রাশিয়ার সাথে যেকোনো শান্তি আলোচনার টেবিলে  বসবে ইউক্রেন।  
 
ট্রাম্প বলেন, ‘ইউক্রেন এর অংশ। আমরা ইউক্রেনকে যেমন আলোচনার টেবিলে পাব তেমনি রাশিয়াকেও পাব। অন্যদেরকেও আমাদের পাশে পাব।’

পুতিনকে বিশ্বাস করেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে তিনি এরকম কিছু একটা ঘটতে দেখতে চান। এই বিষয়ে আমি তাকে বিশ্বাস করি।’

এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, রাশিয়াকে সাত দেশের গ্রুপে (জি-৭) পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে, আমরা আমাদের ছাড়া কোনও চুক্তি মেনে নিতে পারব না।’
 
এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে যে পুতিন এবং ট্রাম্পের বৈঠকের পরিকল্পনা চলছে, সম্ভবত তা সৌদি আরবে হবে। ইউক্রেন ‘অবশ্যই’ শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পথও থাকবে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে যে তারা ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে আলোচনার আয়োজন করতে চায়।