
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাঝে ফোনালাপের ঘটনায় ইউরোপ ঈর্ষান্বিত ও ক্ষুব্ধ। কারণ বৈশ্বিক পর্যায়ে ইউরোপের শক্তি যে দুর্বল হয়ে গেছে, এই দুই নেতার ফোনালাপের মধ্যদিয়ে সেটা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পুতিন ও ট্রাম্প টেলিফোনে কথা বলেন। এ সময় তারা ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে কথা বলেন। ট্রাম্প জানান, পুতিনের সঙ্গে শিগগিরই দেখা করবেন তিনি। এই বৈঠক সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপ ইউরোপীয় কিছু রাজনীতিবিদের মাঝে এমন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে যে, এই দুই নেতা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এমন একটি চুক্তি করে ফেলতে পারেন যা কিয়েভের জন্য অসুবিধাজনক।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেছেন, মার্কিন প্রশাসন আলোচনা শুরুর আগেই এরই মধ্যে রাশিয়াকে ছাড় দেয়ার কথা বলেছে, যা দুঃখজনক।
ইউরোপীয় নেতাতের এমন উদ্বেগের পর টেলিগ্রামে এক পোস্টে পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত মেদভেদেভ বলেন, ইউরোপ হিংসা ও ক্রোধে পাগল হয়ে গেছে। কারণ পুতিন-ট্রাম্পের ফোনালাপ বা এর বিষয়বস্তু নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করা হয়নি। এতে বিশ্বে তাদের প্রকৃত ভূমিকা সবার সামনে পরিস্কার হয়ে গেছে। ইউরোপের সময় শেষ।’
এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে সহায়তা করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকের ক্ষেত্রে তৈরি করেছে চীন।
প্রতিবেদন মতে, বেইজিং ও ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা বলেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে চীনা কর্মকর্তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ট্রাম্পের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা দুই রাষ্ট্রনেতার জন্য শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন ও চূড়ান্ত যুদ্ধ অবসানের পরের শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টার সুবিধার্থে একটি প্রস্তাবও তৈরি করছেন।