সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি বাবা হারিয়েছি, আপনারা ‘ভাইজান’ হারিয়েছেন: রাঙ্গুনিয়ায় হুমাম কাদের 

এম. মতিন, চট্টগ্রাম ব্যুরো  
প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বিএনপি অনেকদূর চলে এসেছে। আমরা চাইনা এই প্রতিহিংসার রাজনীতি আর বাংলাদেশ হোক। তারেক রহমান আমাদের অনুরোধ করেছে, এই ৩১ দফা লিফলেট আকারে  আমরা যেন সবার বাড়িতে পৌছে দেই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে আলোচনা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা জিয়া মঞ্চের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমাম কাদের চৌধুরী।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা অডিটোরিয়াম হলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু মানুষকে আয়নাঘর পরিদর্শনের জন্য ডাকা হয়েছে।  গিয়েছি, দেখে এসেছি, আয়নাঘর কেমন। সাত মাস ওইখানে বন্দি ছিলাম। তার আগে বাবা হয়েছি। আজকে আপনাদের সামনে নেতারা বলছে, এই হুমাম কাদের চৌধুরীর ওপর যত অত্যাচার হয়েছে, আর কারো হয়নি। এই কথাটা সত্য নয়। আমি বাবা হারিয়েছি, কিন্তু আপনারা সাবাই আপনাদের প্রাণপ্রিয় ‘ভাইজান’ হারিয়েছেন। আমার মতো দশটা হুমাম কাদের চৌধুরীও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জায়গা নিতে পারবেনা।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যেই ভালাবাসা আমার বাবা থেকে পেয়েছেন।  চেষ্টা করবো একিই ধরণের ভালবাসা যেন আমি দিতে পারি। অনেকবার শুনতে হয়েছে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্থায়ী ঠিকানা রাঙ্গুনিয়া না। ফজলুল কাদের চৌধুরীকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, স্থায়ী ঠিকানা কি? সে শুধু একটি শব্দ বলেছিল ‘চট্টগ্রাম’। পুরো চট্টগ্রামই তাঁর ঠিকানা।
ফজলুল কাদের চৌধুরী এক সইয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে এনেছিল। উনি মারা যাওয়ার এত বছর পরে গতকাল ইউনির্ভাসিটির পক্ষ থেকে আসা প্রস্তাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে একটা আবাসিক হল ফজলুল কাদের চৌধুরী নামে হবে।
তিনি বলেন, আমার পরিবার ৪০ বছর ধৈর্য ধরার পর ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে একটা হল হচ্ছে। আশাকরি আপনাদের ‘ভাইজানে’র হত্যার বিচার করতে ৪০ বছর লাগবেনা। তার আগেই বাংলার মাটিতে হত্যার বিচার হবে।
আমাদের কাছে বার আার তথ্য জানানো হচ্ছে, আ.লীগ গোপনে মিছিল করবে, মাঠ দখল করবে। আমরা অপেক্ষায় আছি দেখার জন্য, আ. লীগের কোন নেতা কোন রাস্তা দিয়ে বের হয়। আর কোন গলিতে গিয়ে লুকায়। অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি, আর নাহ্। আমরা বিশ্বাস করিনা, কুকুর যদি কামড় দে, কুকুরকে উল্টো কামড় দিতে হয়না। আমরা বিশ্বাস করি, পাগলা কুকুর যদি কামড় দেয় লাঠি দিয়ে বারি দিতে হয়। এই আওয়ামী লীগ এখন ঐ পাগলা কুকুর।
উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি আবদুল আলীম সওদাগরের সভাপতিত্বে ও সা: সম্পাদক আবদুস সালাম সবুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায়
প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমাম কাদের চৌধুরী।
প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি, আবু তালেব উদ্বোধক ছিলেন, জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ওয়াকিল আহমদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি সদস্য মো, শওকত আলী নূর, অধ্যাপক মো. মহসিন, এড. কামাল হোসেন চৌধুরী, উত্তরজেলা যুবদলের সি সহ-সভাপতি ইউসুফ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী ইলিয়াস সিকদার শাহেদ কামাল, এস এম ইফতেখার উদ্দীন রুবেল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সি সহ-সভাপতি ভিপি আনছুর উদ্দীন, মো. ফারুকুল ইসলাম, জনাব সৈয়দ ফজলুল করিম চৌধুরী (মিনা), নুরুল আমিন,জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, মো. খোরশেদ আলম, হেলাল উদ্দিন শাহ্, মসিউদ্দৌলা, এখতেয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. আবদুল হালিম, জিয়াউদ্দিন কাদের, অহিদুল ইসলাম চৌধুরী শরীফ, এড. সরোয়ার হোসেন লাভলু, আজিজুল ইসলাম, আবদুল গফুর খান, খোরশেদ আলম ফারুকী, মোহাম্মদ ফারুক, মো. মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমূখ।
জনপ্রিয়

পলিথিন-প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে বনজীবিদের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আমি বাবা হারিয়েছি, আপনারা ‘ভাইজান’ হারিয়েছেন: রাঙ্গুনিয়ায় হুমাম কাদের 

প্রকাশের সময় : ১০:২৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
এম. মতিন, চট্টগ্রাম ব্যুরো  
প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বিএনপি অনেকদূর চলে এসেছে। আমরা চাইনা এই প্রতিহিংসার রাজনীতি আর বাংলাদেশ হোক। তারেক রহমান আমাদের অনুরোধ করেছে, এই ৩১ দফা লিফলেট আকারে  আমরা যেন সবার বাড়িতে পৌছে দেই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে আলোচনা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা জিয়া মঞ্চের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমাম কাদের চৌধুরী।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা অডিটোরিয়াম হলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু মানুষকে আয়নাঘর পরিদর্শনের জন্য ডাকা হয়েছে।  গিয়েছি, দেখে এসেছি, আয়নাঘর কেমন। সাত মাস ওইখানে বন্দি ছিলাম। তার আগে বাবা হয়েছি। আজকে আপনাদের সামনে নেতারা বলছে, এই হুমাম কাদের চৌধুরীর ওপর যত অত্যাচার হয়েছে, আর কারো হয়নি। এই কথাটা সত্য নয়। আমি বাবা হারিয়েছি, কিন্তু আপনারা সাবাই আপনাদের প্রাণপ্রিয় ‘ভাইজান’ হারিয়েছেন। আমার মতো দশটা হুমাম কাদের চৌধুরীও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জায়গা নিতে পারবেনা।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যেই ভালাবাসা আমার বাবা থেকে পেয়েছেন।  চেষ্টা করবো একিই ধরণের ভালবাসা যেন আমি দিতে পারি। অনেকবার শুনতে হয়েছে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্থায়ী ঠিকানা রাঙ্গুনিয়া না। ফজলুল কাদের চৌধুরীকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, স্থায়ী ঠিকানা কি? সে শুধু একটি শব্দ বলেছিল ‘চট্টগ্রাম’। পুরো চট্টগ্রামই তাঁর ঠিকানা।
ফজলুল কাদের চৌধুরী এক সইয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে এনেছিল। উনি মারা যাওয়ার এত বছর পরে গতকাল ইউনির্ভাসিটির পক্ষ থেকে আসা প্রস্তাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে একটা আবাসিক হল ফজলুল কাদের চৌধুরী নামে হবে।
তিনি বলেন, আমার পরিবার ৪০ বছর ধৈর্য ধরার পর ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে একটা হল হচ্ছে। আশাকরি আপনাদের ‘ভাইজানে’র হত্যার বিচার করতে ৪০ বছর লাগবেনা। তার আগেই বাংলার মাটিতে হত্যার বিচার হবে।
আমাদের কাছে বার আার তথ্য জানানো হচ্ছে, আ.লীগ গোপনে মিছিল করবে, মাঠ দখল করবে। আমরা অপেক্ষায় আছি দেখার জন্য, আ. লীগের কোন নেতা কোন রাস্তা দিয়ে বের হয়। আর কোন গলিতে গিয়ে লুকায়। অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি, আর নাহ্। আমরা বিশ্বাস করিনা, কুকুর যদি কামড় দে, কুকুরকে উল্টো কামড় দিতে হয়না। আমরা বিশ্বাস করি, পাগলা কুকুর যদি কামড় দেয় লাঠি দিয়ে বারি দিতে হয়। এই আওয়ামী লীগ এখন ঐ পাগলা কুকুর।
উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি আবদুল আলীম সওদাগরের সভাপতিত্বে ও সা: সম্পাদক আবদুস সালাম সবুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায়
প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমাম কাদের চৌধুরী।
প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি, আবু তালেব উদ্বোধক ছিলেন, জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ওয়াকিল আহমদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি সদস্য মো, শওকত আলী নূর, অধ্যাপক মো. মহসিন, এড. কামাল হোসেন চৌধুরী, উত্তরজেলা যুবদলের সি সহ-সভাপতি ইউসুফ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী ইলিয়াস সিকদার শাহেদ কামাল, এস এম ইফতেখার উদ্দীন রুবেল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সি সহ-সভাপতি ভিপি আনছুর উদ্দীন, মো. ফারুকুল ইসলাম, জনাব সৈয়দ ফজলুল করিম চৌধুরী (মিনা), নুরুল আমিন,জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, মো. খোরশেদ আলম, হেলাল উদ্দিন শাহ্, মসিউদ্দৌলা, এখতেয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. আবদুল হালিম, জিয়াউদ্দিন কাদের, অহিদুল ইসলাম চৌধুরী শরীফ, এড. সরোয়ার হোসেন লাভলু, আজিজুল ইসলাম, আবদুল গফুর খান, খোরশেদ আলম ফারুকী, মোহাম্মদ ফারুক, মো. মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমূখ।