
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বিয়ের ১১ দিনের মাথায় নিজ বাড়ি থেকে হৃদয় মিয়া (২২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার স্ত্রী লামইয়া বেগমকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পার্বতীপুর মধ্যপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
হৃদয় মিয়া ওই গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন।
আটক স্ত্রী লামইয়া বেগমের বাড়ি খুলনা জেলার তেরখোদা উপজেলার জয়ঘোনা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ফায়েকুরজ্জামানের মেয়ে। ২ বছর আগে একই উপজেলায় আকাশ মিয়া নামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী দুজনই ঢাকায় চলে যান। সেখানে একটি গার্মেন্টেসে কাজ করতেন তারা।
স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, ১১ দিন আগে হৃদয় মিয়া ঢাকা থেকে লামইয়া বেগমকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। গতকাল শুক্রবার রাতে হৃদয় মিয়া নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান। শনিবার সকালে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। তারাই থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী আরও জানান, লামইয়ার আগের স্বামী আকাশ মিয়া ও হৃদয় মিয়া একই গার্মেন্টসে কাজ করতেন। তারা দুজন বন্ধু ছিল। ফলে হৃদয় মিয়া ও আকাশ মিয়া উভয়ে বাসায় যাতায়াত করতেন। সেই সুবাদে হৃদয়ের সঙ্গে লামইয়ার পরিচয় হয়। এরপর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। গত ৩ মার্চ লামইয়া তার নয় মাসের ছেলেসন্তান ও স্বামী আকাশকে রেখে হৃদয় মিয়ার সঙ্গে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টো জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শোবার ঘরের বিছানায় হৃদয় মিয়ার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার স্ত্রী লামইয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে আটক স্ত্রী লামইয়া জানান, গভীর রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে হৃদয়কে ঘরে ঝুলে থাকতে দেখতে পান। পরে তিনি ঝুলন্ত হৃদয়কে মাটিতে নামিয়ে আনেন। ঘটনা জানাজানির আগেই তিনি স্থানীয় পাপুল মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে বিষয়টি জানালে পাপুল মিয়া স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে হৃদয়ের বাড়িতে গিয়ে হৃদয়ের মরদেহ দেখতে পান। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।