
মেহেদী হাসান,রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে বালু মহল থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২০শে মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক রাজস্ব বরাবর,এমন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মুসা মন্ডল নামে এক ব্যক্তি। সে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সোহরাব মন্ডলের পাড়ার গ্রামের মৃত ইসমাইল মন্ডলের ছেলে।
লিখিত অভিযোগ উল্লেখ্য করা হয়,রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার অন্তর্গত মৌজা বেড়াডাঙ্গা মধ্যে ১৩.৪৫ একর জমি যাহা ৭নং ফেরী ঘাটের দক্ষিন পাশে অবস্থিত। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ফেরীঘাট সচল রাখার জন্য ড্রেজার দ্বারা নদী হইতে বালি উত্তোলন করিয়া ৬৬০ ফিট প্রস্থ এবং দৈর্ঘ্য ৪২৫ ফিট বালি আমার জমিতে রাখে। শর্ত থাকে যে, আমার জমির ক্ষতিপুরন হিসাবে সম্পুর্ন বালি আমাকেই দিবে। কিন্তু অঙ্গীকার মোতাবেক সম্পূর্ন বালি আমাকে না দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড্রেজার বিভাগ জনাব হাসান সাহেব এবং গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নাহিদুর রহমান উপস্থিতিতে ২২০ ফিট প্রস্থ এবং ৪২৫ফিট দৈর্ঘ্য বালি আমাকে দেয় এবং ৪৪০ ফিট প্রস্থ্য এবং ৪২৫ ফিট দৈর্ঘ্য ৮ লক্ষ বালি আমার নিকট ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রয় করে। আমি উক্ত মুল্যের মধ্যে ৫ লাখ টাকা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নাহিদুর রহমান সাহেবকে ১। শিমুল মোল্লা, পিতা মৃত বেলায়েত মোল্লা, সাং ভবদিয়া, থানা ও জেলা রাজবাড়ী, ২। মোহন মন্ডল, পিতা মৃত ইসমাইল মন্ডল, সাং দৌলতদিয়া বাজার, ৩। বেলায়েত মন্ডল, পিতা মৃত তারোক মন্ডল, সাং হোসেন মন্ডল, ৪। মোঃ সোহেল মন্ডল, পিতা মোঃ মোতালেব মন্ডল, সাং সাহাদত মেম্বার পাড়া, ৫। খোকন মোল্লা, পিতা মৃত জয়েন মোল্লা, সাং হোসেন মন্ডল পাড়া সর্ব থানা গোয়ালন্দ জেলা রাজবাড়ী,সাক্ষিগনের সম্মুখে আমার নিকট হইতে গ্রহন করে এবং মসজিদ, মাদ্রাসা এবং প্রেস ক্লাবের কথা বলিয়া ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বালি লইয়া যায়। আমি আমার মালিকানা বালি এবং আমার ক্রয়কৃত বালি স্থানান্তর করিতে গেলে নির্বাহী কর্মকর্তা, গোয়ালন্দ আমার বালি স্থানান্তর কাজে বাধা নিষেধ করে। এমতাবস্থায় আমার মালিকানা বালি ও ক্রয়কৃত বালি স্থানান্তরের কাজে নির্বাহী কর্মকর্তা, গোয়ালন্দ যাহাতে বাধা নিষেধ করিতে না পারে সেইত্মর্মে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা বিশেষ প্রয়োজন। অন্যথায় আমার অপুরনীয় ক্ষতি সাধিত হইবে।
এবিষয়ে মুসা মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার কাছ থেকে গোয়ালন্দ নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদুর রহমান বালু দেওয়ার কথা বলে ৫ লাখ টাকা গ্রহন করেছেন। পরে বলেন, আমি আমার বালু অথবা টাকা ফেরত চাই।
অভিযোগের বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টা তদন্ত চলছে। আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না। শুধু একটা কথা বলতে চাই, আমি বালু মহল থেকে কোন টাকা নেইনি।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, বালু মহাল কতৃক গোয়ালন্দ উপজেলার ইউএনও এর বিরুদ্ধে, ইতিমধ্যে আমাদের রাজস্ব বিভাগে একটি লিখিত অভিযোগ জমা হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho