বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া পরিবারের সদস্যদের হয়রানি, অসহযোগিতা ও অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগ তুলেছে শহীদ পরিবার। সেই সঙ্গে শহীদ পরিবার ও
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতারা বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবি জানিয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে জুলাই
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া মো. শাহীন হাওলাদারের স্ত্রী রিক্তা বেগম এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
শহীদ শাহীন হাওলাদারের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাজিকরখন্ড গ্রামে। তিনি ঢাকায় গাড়ীর ব্যবসা করতেন।
এসময় লিখিত বক্তব্যে রিক্তা বেগম অভিযোগ করে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমার স্বামী দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াইয়ে অংশ নিয়ে শহীদ হন। সরকার ঘোষিত একটি সঞ্চয়পত্রের কাগজপত্রের জটিলতা সৃষ্টি হলে তার সমস্যা সমাধানে জেলা
প্রশাসকের কাছে ছয়বার গিয়েছি। তিনি তা সমাধান না করে অবহেলা ও অসম্মান করে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি অফিসে থেকেও অফিসে নেই বলে জানিয়েছেন।
বর্তমান জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান আজ পর্যন্ত জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের পরিবারের কোন খোঁজ খবর নেননি। কোন শহীদের কবর জিয়ারত করেননি।
এমনকি কোন ধরনের সহযোগিতার উদ্যোগও নেননি তিনি। ঊর্ধ্বতন কেউ বাগেরহাট সফরে এলে তিনি বাগেরহাটে কোন আন্দোলন হয়নি বলে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন।
শহীদ পরিবারের প্রতি তার কোন দায়বদ্ধতা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, অন্য জেলার উদাহরণ তুলে ধরা হলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক বলেন "অন্য জেলার ডিসিরা যারা সহায়তা করেন তারা চাঁদাবাজি করেন"। তার সামনে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হলে তিনি তা
অস্বীকার করেন। সম্প্রতি সময়ে জেলা প্রশাসকদের কোন এক মিটিংয়ে তিনি বলেছেন বর্তমান সরকার বেশিদিন থাকবে না এবং আগামীতে কারা ক্ষমতায় আসছে এটাও
নাকি স্পষ্ট। আওয়ামী লীগের ভোট নাকি ঐসব বিশেষ দলে যাবে। যারা জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন তাদের জন্য নাকি সামনে খুব খারাপ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
তারা বলেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারগুলোর প্রতি সম্মান ও সহযোগিতা মূলক দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা হোক। শহীদের আত্মত্যাগ যেন ব্যর্থ না হয় এবং এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে আওয়ামী দোসর বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক
আহমেদ কামরুল হাসানকে দ্রুত অপসারণ করা হোক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম, শহীদ বিপ্লবের পিতা মোঃ পারভেজ শেখ, শহীদ সাব্বিরের বোন ফারহানা শারমিন, শহীদ শাহিনের স্ত্রী রিক্তা বেগম, শহীদ মাহফুজের পিতা আব্দুল মান্নান এবং মাতা
বেগম বেগম। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাটের আহ্বায়ক এস এম সাদ্দাম, সদস্য সচিব আজরিন আরবি নওরিন, এস কে বাদশা, তানিয়া ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, প্রভাত ইসলাম সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন
পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং শহীদ পরিবারের শিশু বাচ্চা ও স্বজনেরা।
এ অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, আমি এ বিষয়টি শুনেছি আমাকে অভিযুক্ত করে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আমার
বিরুদ্ধে যে বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি সত্য নয়। আমি এ বিষয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি।।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho