বাংলাদেশের একটি আদালত সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।
রোববার (১৩ এপ্রিল) তার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত মামলা পর্যালোচনা করবেন ঢাকার একটি আদালত। ৪২ বছর বয়সী টিউলিপের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে, টিউলিপ এমপি থাকা অবস্থায়, বিদেশি কোনো মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে বিবেচিত হবেন। এরপর বিচারের জন্য ব্রিটেনের কাছে তাকে ফেরত চাইতে পারে বাংলাদেশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ নাগরিক। শেখ হাসিনার পতনের আগে তিনি যুক্তরাজ্যের নগর মন্ত্রী হয়েছিলেন। রাজধানীর পূর্বাচলে নিজের প্রভাব খাটিয়ে খালা শেখ হাসিনাকে দিয়ে নিজের মা শেখ রেহেনা, ভাই রেদওয়ান ববি সিদ্দিক এবং বোন আজমিনা সিদ্দিকের জন্য পূর্বাচলে প্লট বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এই অভিযোগে এখনো পর্যন্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে হাসিনা পরিবারেই ছয় সদস্য রয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউরো আত্মসাতের অভিযোগে নাম আসে টিউলিপ সিদ্দিকের। এ খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর চাপে পড়েন তিনি। এরপর খবর বের হয়, টিউলিপ লন্ডনে হাসিনার ঘনিষ্ঠদের দেওয়া একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করেছেন। কিন্তু ২০২২ সালে ডেইলি মেইলেকে তিনি মিথ্যা কথা বলেন। তিনি জানান, ২০০৪ সালে ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা তাকে কিনে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে সত্যি সামনে আসে। এমন পরিস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলে তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন। এখন তার বিরুদ্ধে পূর্বাচলের প্লট বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho