রাজবাড়ীতে জোর করে অসহায় এক কৃষক পরিবারের জমি দখল করে,সেই জমির উপর দ্বিতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ ওঠেছে হাফিজ নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এনিয়ে বাঁধা দিয়ে গেলে কৃষক  পরিবারের উপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী চালায় হাফিজ ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। এতে আহত হয় অন্তত ১০ জন। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি হলে, সেখানে গিয়েও  হামলা চালায় হাফিজ ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। এনিয়ে থানায় একটি মামলা হলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের কইজুরি গ্রামের বাসিন্দা ওহিদুল' ও পরিবারের উপর অতর্কিত  সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে হাফিজ নামে  স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। এসময় আহত হয় ওহিদুলসহ তার পরিবারের অন্তত  ১০ জন সদস্য। সেইসাথে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয় ৪টি দোকানঘর। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ লাখ টাকা।

জানা যায়, ওহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ীর পাশের একটি জমি নিয়ে বিবাদ ছিলো হামলাকারী হাফিজের সঙ্গে । সেই সুত্র ধরে গত ৬ই এপ্রিল হামলা চালায় হাফিজ ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। এই বিষয় নিয়ে গত ৭ই এপ্রিল থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওহিদুলের বড়ভাই রবিউল ইসলাম। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত হাফিজ ওহিদুল এর বাড়ীর পাশের গ্রামে বসবাস করেন। ওহিদুল ও তার পরিবারের সাথে হাফিজের জমিজমা নিয়া বিরোধ দীর্ঘদিনের। সেখানে হাফিজের ২ শতাংশ জমি রয়েছে৷ কিন্তু হাফিজ জোরজবরদস্তি করে প্রায় ৪ শতাংশ জায়গার উপর একটি দ্বিতীয়তলা ভবন নির্মাণ করেন। এই বিরোধের জের ধরে  হাফিজ নিয়মিত ওহিদুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী দিয়া আসিতেছিল। এই বিরোধের জের ধরে ৬ই এপ্রিল হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, কুডাল, ছ্যানদ প্রভৃতি দিয়ে হামলা চালায় হাফিজ ও তার সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী বাহিনা। এই হামলায় আহত হয় ওহিদুল ও তার পরিবারের ১০ জন। সেইসাথে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া ৪টি দোকানঘর। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। আহতরা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি সেখানে গিয়েও হামলা চালায় হাফিজ ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা।

এলাকাবাসী বলছেন, হাফিজ জোর পূর্বক ওহিদুলের পরিবারের জমি দখল করছে। দখলকৃত জমি ফেরত চাইলে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালায় হাফিজ।

এবিষয়ে মুঠোফোন হাফিজ এর সাথে কথা হলে তিনি হামলার করার বিষয়টা অস্বীকার করে বলেন,আমি কারো উপর হামলা করিনি। উলটো ওহিদুল ও পরিবারের সদস্য আমার উপর হামলা করেছে।

আর রাজবাড়ী সদর ওসি মোঃ মাহামুদুর রহমান  বলছেন,এই ঘটনা নিয়ে থানায় ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।