বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাদীর বাধার কারণে ময়না তদন্তের জন্য ২৬৯ দিন পর উত্তোলন করা যায়নি জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ। মঙ্গলবার(২২ এপ্রিল) সকালে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়নের পানাতিয়া পাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে ঘটে এ ঘটনা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকা- মহানগর আদালতের নির্দেশে বকশীগঞ্জ ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) আসমা-উল- হুসনার উপস্থিতিতে রিপনের লাশ উত্তোলনের জন্য তার পারিবারিক কবরস্থানে যান তদন্তকারী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা। । লাশ উত্তোলনের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত মামলার বাদীর বাঁধার মুখে লাশ উত্তোলনে না করেই ফিরে যেতে হয়।
জানা যায়, বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ ই আগষ্টে ঢাকা উত্তরা নিহত হন রিপন। পরে নিহত রিপনের বড় ভাই বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক নাম্বার আসামী করে ঢাকা উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১৫(৮)২৪ ও জি আর নং ১২৮/২৪।
দেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থায় নিহত রিপনের এর অভিভাবকগন সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত ও স্থানীয় পুলিশকে অবগত না করে ভিকটিম ( রিপন) এর লাশ ৫/৮/২০২৪ ইং তারিখে তার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করে। যা মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে বর্নিত ভিকটিম ( রিপন ২৬) এর লাশ তুলার জন্য বিজ্ঞ আদালত আদেশ প্রদান করেন।
তারই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে বকশীগঞ্জ উপজেলার পানাতিয়াপাড়া গ্রামের কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলণের জন্য আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আসমা-উল- হুসনা ও ঢাকা উত্তরা পূর্ব থানার মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম । এসময় মরদেহ উত্তোলনে আপত্তি জানিয়ে বাঁধা দেন নিহত রিপনের বড় ভাই সরকার আক্তার হোসেন । তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট সময় দিয়ে আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
মামলার বাদী সরকার আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের মাধ্যমে সব কাজ সম্পন্ন করে মরদেহ উত্তোলনের জন্য আসেন। আমরা খবর পেয়ে এখানে এসে আপত্তি জানাই।
লাশ উত্তোলন করতে যাওয়া বকশীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা জানান, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে আমরা রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলন করতে এসেছিলাম। কিন্তু মামলার বাদী সরকার আকতার হোসেন এতে বাঁধা প্রধান করেন।
আমরা বিষয়টি আদালতে অবহিত করবো। বিজ্ঞ আদালতের পরবর্তী নির্দেশের পর কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, আমরা থানা থেকে সহায়ক টিম হিসাবে ঘটনা স্থলে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু মামলার বাদী লাশ উত্তোলনে বাধা দেওয়া তদন্তকারী টিম ফিরে যান। এবং আমাদের সহায়ক টিমের সদস্যরাও ফিরে আসে।