
যারা খুব দ্রুত খান তাদের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া হয়। কারণ মস্তিষ্ক ২০ মিনিটের আগে বুঝতে পারে না যে পাকস্থলী পর্যাপ্ত খাবার পেয়েছে। ফলে বেশি খাওয়া হয়, শরীরে ক্যালোরিও যায় বেশি। এতে ওজনও বাড়ে। হারবার্ট হেল্থ পাবলিকেশন্সের এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গ্রিসের লাইকো জেনারেল হাসপাতালের গবেষণায় দুটি দলকে আইসক্রিম খেতে দেয়া হয়। এক দলকে বলা পাঁচ মিনিটের মধ্যে খেতে। আরেক দলকে বলা হয় আধা ঘণ্টা ধরে ধীরে ধীরে খেতে। যারা আস্তে আস্তে খেয়েছে তাদের শরীর থেকে এমন এক হরমোন নিঃসরণ হয়েছে যা আমাদের পেট ভরা থাকার সিগনাল দেয়। ফলে পরিমিত খাবারেও পেট ভরা থাকার অনুভূতি হয়।
২০১৮ সালে চীনে জাতীয় পর্যায়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সাত থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের স্থূলতার বড় কারণ ছিল তাদের দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস।
এক হাজার মানুষের ওপর পাঁচ বছর ধরে চালানো এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা দ্রুত খান তাদের স্থূলতা, হাই প্রেশার, হাই ব্লাড সুগার, হাই ট্রাইগ্লিসারাইড, পেটের চর্বি এবং অস্বাভাবিক কোলেস্টেরল মাত্রার মতো স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভোগার হার, ধীরে ধীরে খাওয়া মানুষদের চাইতে ১১ শতাংশ বেশি। এসব কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, দ্রুত খেতে গিয়ে বদহজম ও হার্টবার্ন অর্থাৎ বুক জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
দ্রুত খাওয়ার ফলে আপনি বাতাস গিলে ফেলতে পারেন এতে পেট ফুলে ভারি হয়ে যায়, অস্বস্তি লাগে, গ্যাসের সমস্যা তৈরি হয়, টক ঢেকুর আসে। এ ছাড়া বেশি খাবার খাওয়ার ফলে পাকস্থলী অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপন্ন করে, যার কারণে বুকে জ্বালাপোড়া হয়।
পুষ্টিবিদ তাসনিম চৌধুরী জানিয়েছেন, দ্রুত খাওয়ার ফলে শরীর খাবার থেকে পুষ্টি যথাযথভাবে শোষণ করার সময় পায় না। এতে করে আপনি পুষ্টিকর খাবার খেলেও সেই খাবারের ভিটামিন, মিনারেলস বা অন্যান্য পুষ্টি শরীরে কোনো কাজে লাগে না।
জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৫০ হাজার জনের বেশি মানুষকে দ্রুত, স্বাভাবিক এবং ধীর গতিতে খাওয়ার শ্রেণিতে ভাগ করে তাদের তথ্য বিশ্লেষণ করেন। দেখা যায়, যারা ১০ মিনিটের মধ্যে তাদের খাবার খেয়েছেন তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা খুব দ্রুত বেড়েছে। অথচ একই খাবার 'সময় নিয়ে খাওয়ার' কারণে অন্যদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়েছে অনেক কম।
পুষ্টিবিদদের মতে, দ্রুত খেলে রক্তচাপও বেড়ে যায় আর রক্তচাপ বাড়লে শরীরে ইনফ্লামেশন, টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। দ্রুত খেলে ইনসুলিন নিঃসরণও কমে যায় যা টাইপ টু ডায়বেটিস হওয়ার বড় কারণ। সূত্র: বিবিসি বাংলা
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho