
হলুদ মশলা হিসেবে শুধু রান্নায় নয়, আয়ুর্বেদেও এর রয়েছে বিস্তর ব্যবহার। নানা রোগের প্রতিকার হিসেবে পরিচিত এই মসলা কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু চমকের বিষয় হলো, অতিরিক্ত বা ভুলভাবে গ্রহণ করলে হলুদ কিডনির ক্ষতিও করতে পারে!
কীভাবে হলুদ কিডনিকে সহায়তা করে?
হলুদের প্রধান উপাদান হলো ‘কারকিউমিন’ যা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। এসব উপাদান কিডনির কোষে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বা চাপে তৈরি হওয়া ক্ষতি রোধ করতে পারে। সুতরাং, সীমিত মাত্রায় হলুদের ব্যবহার কিডনি স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
তাহলে সমস্যা কোথায়?
ডায়েটিশিয়ান ও ডায়াবেটিস এডুকেটর কানিকা মালহোত্রা জানান, “কারকিউমিন প্রস্রাবে অক্সালেটের মাত্রা বাড়াতে পারে। ফলে যারা ইতিমধ্যে কিডনিতে পাথরের ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত হলুদ গ্রহণের ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। রক্ত পাতলা হওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে, যা রক্তপাতের ঝুঁকি তৈরি করে। ব্লাড থিনার ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
তবে কতটুকু পরিমাণ হলুদ নিরাপদ?
কানিকা জানান, “রান্নায় ব্যবহৃত স্বাভাবিক পরিমাণের হলুদ সাধারণত ক্ষতিকর নয়। কিন্তু হলুদের ক্যাপসুল বা কনসেন্ট্রেটেড সাপ্লিমেন্ট বেশি খেলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”
সাধারণভাবে ৫০০ থেকে ২০০০ মি.গ্রা. হলুদ দৈনিক গ্রহণ নিরাপদ ধরা হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এমন ডোজ শুরু করা উচিত নয়। বরং ধীরে ধীরে কম মাত্রা দিয়ে শুরু করে পর্যবেক্ষণ করাই ভালো।
কাদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জরুরি?
* যাদের কিডনিতে পাথরের ইতিহাস আছে
* যারা ব্লাড থিনার বা রক্ত জমাট বাঁধা সংক্রান্ত ওষুধ খান
* যাদের কিডনি সমস্যা বা হাইরিস্ক রয়েছে
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho