প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ১১:৩০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২৭, ২০২৫, ১২:৩০ পি.এম
বিয়ের দেড় মাস পর জানা গেল নববধূ পুরুষ
মেহেদী হাসান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রায় দেড়মাস সংসার করার পর স্ত্রী পুরুষ বলে জানা যায়। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
কথিত নববধূর নাম সামিয়া। তার প্রকৃত নাম মো. শাহিনুর রহমান। তিনি চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বৌবাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের হাউলি কেউটিল গ্রামের মো. বাদল খানের ছেলে মাহমুদুল হাসান শান্তর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় সামিয়ার। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর গত ৭ জুন শান্তর বাড়িতে চলে আসেন সামিয়া। এরপর পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। তখন থেকে নববধূ হিসেবে শান্তর পরিবারে বসবাস করতে থাকেন তিনি।
সম্প্রতি নানান কারণে শান্ত ও সামিয়ার আচরণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। শুক্রবার বিকেলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা নিশ্চিত হন নববধূ সামিয়া একজন পুরুষ। বিষয়টি জানাজানি হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসান শান্ত বলেন, ফেসবুকে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৭ জুন বাড়িতে চলে এলে মৌলভি এনে আমাদের বিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় সামিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি হয়নি। বিয়ের পর থেকে তার আচরণ রহস্যজনক ছিল। তার কাছে গেলে বলতো, আমি এখন অসুস্থ। ডাক্তার আপাতত কাছে আসতে নিষেধ করেছেন। গতকাল (শুক্রবার) তার আসল পরিচয় উন্মোচিত হয়। আজ সকালে তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এলাকার স্থানীয়রা জানান যে, নববধূর আচরণ দেখে মনে হচ্ছিল না যে সে একজন ছেলে। ধীরে ধীরে এক থেকে দেড় মাস পর বোঝা গেল সে ছেলে।সে প্রতারণা করে শান্ত কে বিয়ে করেছে তার শাস্তি হওয়া উচিত।
শান্তর মা মোছা.সোহাগী বেগম বলেন, একজন পুরুষ পরিবারে বউ হয়ে এতদিন থাকলেও কেউ টের পাইনি। তার অভিনয়ে কেউ বুঝতে পারিনি সে ছেলে ছিল। সকালে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।এ বিষয়ে শাহিনুর রহমান ওরফে সামিয়া বলেন, শান্তর সঙ্গে যা করেছি, সেটা আমার অন্যায়। আমার শারিরীক সমস্যা আছে। তাই নিজেকে মেয়ে ভাবতেই ভালো লাগে।তাই আমি এমনটা করেছি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho