
সন্তান আল্লাহর সবচেয়ে বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে চান তাকেই সন্তান দান করেন। আল্লাহ ছাড়া কেউ সন্তান দিতে পারে না। তাই আল্লাহর কাছেই চাইতে হবে। আল্লাহ কোরআনে বলেন, তিনি যাকে চান কন্যা দেন ও যাকে চান পুত্র দেন। অথবা পুত্র ও কন্যা উভয় মিলিয়ে দেন। আবার যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান। (সুরা আশ শুরা ৪৯.৫০)
হযরত জাকারিয়া আ. সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন, ‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা যুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামিউদ দোয়া।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পূতপবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি দোয়া কবুলকারী।’ (সুরা আলে ইমরান ৩৮) আল্লাহ তার দোয়া কবুল করলেন। তাকে ছেলে সন্তান দান করলেন।
দ্রুত সন্তান লাভের আমল
হযরত জাকারিয়া আ. দোয়া করেছিলেন, আরবি উচ্চারণ: রাব্বি লা তাযারনি ফারদান ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিসিন। অর্থ: হে আমার পালনকর্তা! আমাকে একা রেখ না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস। (সুরা আম্বিয়া ৮৯) এই দোয়া কবুল হওয়া প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্য তার স্ত্রীকে প্রসবযোগ্য করেছিলাম।’ (সুরা আম্বিয়া ৯০)
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার ৯৯টি গুণবাচক নাম আছে। যে ব্যক্তি এ গুণবাচক নামগুলোর জিকির করবে; সে জান্নাতে যাবে।’ আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে (اَلْاَوَّلُ) ‘আল-আউয়ালু’ একটি। এ গুণবাচক নামের এ ছোট্ট আমলে সন্তান লাভের মনোবাসনা পূর্ণ হয়।
নিয়মিত ইস্তেগফারে অকল্পনীয় সাহায্য পাওয়া যায়। আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে, আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন। সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন। (আবু দাউদ: ১৫২০)
মাতৃগর্ভে বীর্য প্রথম ৬ দিন কেবল বুদ্বুদ আকারে থাকে। তারপর জরায়ুতে সম্পর্কিত হয়। তিন মাসের আগে ছেলে বা মেয়ে সন্তান চিহ্নিত হয় না। চার মাস পর রুহ সঞ্চারিত হয়ে বাচ্চা নড়েচড়ে ওঠে ও আঙুল চুষতে থাকে। যাতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে মায়ের স্তন চুষতে অসুবিধা না হয়। এ সময় তার কপালে চারটি বস্তু লিখে দেওয়া হয়। তার আজাল (হায়াত), আমল, রিযিক এবং সে ভাগ্যবান না দুর্ভাগা। (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৮২)
এমন একটি দোয়া আল্লাহ তাআলা শিখিয়ে দিয়েছেন। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা কুররাতা আইয়ুন, ওয়া জাআল না লিল মুত্তাকিনা ইমামা।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের জীবনসঙ্গীর পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান করুন এবং আমাদের আল্লাহভীরুদের জন্য আদর্শস্বরূপ দান করুন।’ (সুরা ফুরকান ৭৪)
সন্তান লাভের জন্য আল্লাহর কাছে নবীরা যেভাবে দোয়া করেছিলেন সেভাবে দোয়া করা উচিত। জাকারিয়া আ. আল্লাহর কাছে বৃদ্ধ বয়সে দোয়া করলেন। আল্লাহ সন্তান দিলেন। আপনিও নবীদের মত করে দোয়া করুন, আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন ইনশাআল্লাহ আল্লাহ নিরাশ করবেন না। জাকারিয়া আ. দোয়া করলেন, ‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা যুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামিউদ দোয়া।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পূতপবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি দোয়া কবুলকারী।’ (সুরা আলে ইমরান ৩৮) সূত্র- সময় সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho