
‘জুলাই ঘোষণাপত্র জনগণের অধিকার। এই ঘোষণাপত্র নিয়ে কোন প্রকার জোড়া-তালি জনগনের কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে জুলাইয়ের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষ নেতৃদ্বয়।
তারা বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিল জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা। ক্ষমতার মালিক হবে জনগণ। জুলাই ঘোষণা পত্রে যদি রাষ্ট্রের মালিকানা জ৭নগনের হাতে প্রতিষ্ঠিত না হয় তাহলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে যাবে।’
রবিবার (৩ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ সব কথা বলেন।
তারা বলেন, ‘জনগণের ঐক্য ছাড়া গণ-অভ্যুত্থান সফল হয় নাই, হওয়া সম্ভবও ছিল না। যদি জনগণ ঐক্যবদ্ধ না থাকত, তাহলে গণ-অভ্যুত্থান সম্ভব ছিল না। গণ-অভ্যুত্থান করেছে জনগণ। এর পেছনে কোনো একক দল, একক গোষ্টি বা বিশেষ কোনো গ্রুপের নেতৃত্ব ছিল না। আমাদের তরুন সমাজ জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করেছে, তারাই জনগনকে গণ-অভ্যুত্থানের পথে নিয়ে গেছে। চুঢ়ান্ত আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে দেশের তরুন সমাজ।
নেতৃদ্বয় বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের চাওয়া ছিল ব্যক্তির অধিকার ও ব্যক্তির মর্যাদা নিশ্চিত করা, আর দ্রæত দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দুর্নীতির সেই কালো থাবা থেকে দেশ এখনো মুক্ত হয় নাই। পতিত ফ্যাসীবাদী সরকারের দুর্নীতির বরপুত্ররা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে। দুর্নীতি বন্ধের করার ব্যবস্থা না করে, দুর্নীতিবাজদের বিচার না করে শুধু জুলাই ঘোষণাপত্র কি জুলাইয়ের চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে ?’
বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘জুলাই আমাদের ধর্ম-বর্ণ, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে জুলাই শহীদদের রক্তের দাগ কখনো মুছে ফেলা যাবে না। জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণ ছিল অভূতপূর্ব। এ অভ্যুত্থানে শ্রমিক, রিকশাচালক, শ্রমজীবী, ছাত্র-জনতাসহ সব শ্রেনী-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। আর এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশের তরুণরা।’
তারা বলেন, ‘জুলাই চেতনার ভিত্তিতে সৎ, মেধাবী ও যোগ্যদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করার পথ সৃষ্টির মাধ্যমে, বৈষম্য, অন্যায়-অনিয়ম ও দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নরে বিরুদ্ধে রুখে দাঢ়াঁতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আর কোনো লুটেরা আর ফ্যাসিস্টের আগমন ঘটতে না পারে। তা না হলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা বৃথা যেতে পারে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho