চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিটিজি ক্রাইম টিভি মিডিয়া ও দৈনিক আই বার্তা নামক পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৫নং লালানগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মো. জসিম উদ্দিন।

রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার ধামাইরহাট নুফা ফুড রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জসিম উদ্দিন বলেন, অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিটিজি নিউজ ও দৈনিক আই বার্তা  কোনপ্রকার তথ্য উপাত্ত ছাড়াই ' জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে চোরাচালান, ইয়াবা কারবারসহ বালু দাস্যুতার অভিযোগ ও রাঙ্গুনিয়ায় আতংকের নাম জসিম উদ্দিন' শিরোনামে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য একটি হীন পায়তারা করেছে। অথচ সেই সিটিজি ক্রাইমের কর্ণধার ও রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি দু'জনই একাধিক মামলার আসামি ও জেল ফেরত।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গত ৩০ আগষ্ট" অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল "সিটিজি ক্রাইম টিভি ও ৩১ আগষ্ট সাপ্তাহিক সিটিজি নিউজ ও দৈনিক আই বার্তা"য় আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও অসত্য তথ্য দিয়ে অপপ্রচার প্রচার করেছেন, তার প্রতিবাদে আমার এই সংবাদ। তারা আমাকে জড়িয়ে নিউজে উল্লেখ করেছে, 'জসিম উদ্দিন বর্তমানে এলাকার এক অতংকের নাম।' আমি সাংবাদিক ভাইদের বলবো আপনারা সরেজমিনে আমার এলাকায় গিয়ে অনুসন্ধান করুন, আমার বিরুদ্ধে এলাকায় কিংবা থানায় কোন মামলা বা অভিযোগ আছে কিনা? বরঞ্চ আমি চেষ্টা করেছি শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে অনুপ্রেরণার জায়গা তৈরি করতে।

তিনি আরও বলেন, প্রচারিত সংবাদে উল্লেখ করেছেন, বিশ্বাস্থ সূত্রে জানেন, নারীকান্ডে সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়। যা সম্পূন্ন মিথ্যা বানোয়াট। আমি ২০০৪ সালে সৌদি আরব গমন করি। ১৫ সালে দেশে আসি। সৌদি আরব থেকে আসার এত বছর পর বিশ্বাস্থ সূত্র শুধু তাঁরা নারী কান্ডের বিষয়ে জেনেছেন, আপনারা স্থানীয় সংবাদকর্মী হয়েও আপনারা জানেন না। এই মিথ্যা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য একটি হীন পায়তারা করেছে।

দেশে ফিরে জসিম উদ্দিন ইচ্ছামতি নদী, খাল ও সাগরের বালু উত্তোলন করেন বলে উল্লেখ করেছেন, হ্যাঁ আমি বৈধভাবে ইজরার মাধ্যমে ইছামতি নদীর ডাক নিয়েছি। তার সমস্ত ডকুমেন্টস আপনার সামনে উপস্থাপন করলাম। কিন্তু সাগর ও অন্য খাল থেকে বালু উত্তোলন করছি এরকম কোন তথ্য পেলে আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আর ট্রলার ব্যাবহার করে এসব বালু পাচার করছি, এই তথ্যটা স্থানীয়রা উক্ত প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। কিন্তু এখানে কোন ট্রলার আছে কিনা কিংবা আদৌ কোন ট্রলার ইছামতি নদীতে ছিল কিনা এবং রাবার ড্রামের কারণে ইছামতী নদীতে ট্রলার ও ডেজার চলাচল করতো কিনা আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন। উল্লেখ্য যে, এখানে স্থানীয় বলতে, কারো নাম কিংবা বক্তব্য প্রকাশ করেন নি। অতএব, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, ধর্মের নামে প্রতারণা করেছি মর্মে এক ভুক্তভোগীর নাম প্রকাশ করেছেন। ওমরা হজ্বে পাঠানোর নামে নাকি ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছি, এটা একেবারেই মিথ্যা সংবাদ, ভুক্তভোগীর কে, তার পরিচয় কি, তাকে মিডিয়ার সামনে হাজির করে তার বক্তব্য ভিডিও ফুটেজে প্রচার করা উচিৎ, অন্যায় কথিত সংবাদ মাধ্যমগুলো কোন স্বার্থন্বেষী মহলের স্বার্থ হাসিলের পক্ষে এহেন অপ প্রচার চালাচ্ছেন বলে প্রতিয়মান। শুধু তাই নয় কথিত সিটিজি ক্রাইম যে আমার কাছে চাঁদা দাবী করে আসছিল' যার স্কীনশট আমার কাছে আছে।

স্বর্ণ চোরা চালান ও বছরে ৩-৪ বার দুবাই সফর: এক্ষেত্রে আমি বলবো আপনারা আমার পাসপোর্ট ও কাগজ পত্র দেখেন আমি কতবার বিদেশ সফর করেছি। আর স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে দেশে বা বিদেশে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা আপনারা অনুসন্ধান করে বের করুন।

নিউজে উল্লেখ করেন, আমি ইয়াবা ও অপরাধ জগতের সাথে জড়িত, এটা একেবারেই মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ, মুলত আমি একজন শিক্ষানুরাগী, নিজে স্নাতক পাশ করেছি, আমার দুই সন্তান বর্তমানে মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পড়াশোনা করছেন, দ্বিতীয় মেয়ে একটি সরকারী মহিলা কলেজে ২য় বর্ষের ছাত্রী, আমি যে শিক্ষার প্রতি কত গুরুর্ত্বশীল বুঝে নেন, আর আমাকে মাদক ও অপরাধের সাথে জড়িয়ে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, এটা তো দুধের মাছিও বিশ্বাস করবেনা। এটা মুলত আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে করা হয়েছে বলে মনে করি।

চোরা চালানের ব্যবসার মূল হোতা হিসেবে" এক মহিলার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন এই মহিলাকে আপনারা খোঁজে বের করে তার বক্তব্য নেন। এই মহিলার সাথে কার বিরোধ আছে। তাহলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে। এখানে আপনাদের জ্ঞতার্থে বলে রাখি, সিটিজি ক্রাইমের কার্ণধার ও বাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি দুই জনই বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল ফেরত দাগী আসামী। তাছাড়া সিটিজি ও আই বার্তা রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি একজন অশিক্ষিত ও কাঠ মিস্ত্রি। সে কিভাবে এই মহান পেশার একজন সাংবাদিক হয় তা আমার বোধগম্য নয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেংকারী ও বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিতের অভিযোগ জনশ্রুতি আছে। একই সাথে সে ক্লাস ফাইভ পাশ কিনা সন্দেহ আছে। তাঁরা সাংবাদিক পরিচয় কে কাজে লাগিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। তাঁরা বিশেষ গোষ্ঠী ও ব্যক্তিকে টার্গেট করে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এরকম হলুদ সাংবাদিকতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি

নিউজে আমার ব্যবসায়ীক পার্টনার উল্লেখ করেছেন নরসিংদী জেলার থানাঘাট এলাকার এক ব্যবসায়ী পর্যটকের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে ঐ ব্যবসায়ী পর্যটকের নাম কি? তা উল্লেখ করেন নি, তাহলে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে সিটিজি ক্রাইম টিভি ও আই বার্তা হলুদ সাংবাদিকতার বহিঃপ্রকাশ,

নিউজে উল্লেখ করেছেন, এলাকাবাসী ও স্বাষ স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, এক্ষেত্রে তাদের হলুদ সাংবাদিকতা একধাপ এগিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়রাদের নাম বলে উল্লেখ করলেও তাদের ভিডিও ফুটেজে স্থানীয় এলাকাবাসীর কারো স্বাক্ষাৎকার দেখান নি। একই সাথে বলবো একটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে উভয় পক্ষের বক্তব্য নেয়া প্রয়োজন। অথচ আমার কোন বক্তব্য না নিয়ে তারা একপেশে সংবাদ প্রচার করেছে। যা অন্যায় এবং অপরাধ।

এ ধরনের চক্রান্ত উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশের জন্য আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে উক্ত প্রচার ও প্রকাশিত সংবাদ প্রত্যাহার করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।