
জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার সড়াইল ও আওড়া গ্রামে শিয়ালের কামড়ে শিশুসহ দুই গ্রামের কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আহতরা হলেন- পৌরসভার সড়াইল গ্রামের মফিদুল খন্দকার (৪০), আব্দুল আজিজ (৫৫), আবু বক্কর সিদ্দিক (৬০), জান্নাতুন (৫), ববিতা (৩০) আব্দুর রশিদ (৫৫), আওড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর (৩০) আতিক (২০), সবুজসহ (২৫) ৯ জন।
আহতদের রাতেই কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর ১ জনকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
শিয়ালের কামড়ে আহত পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল আজিজ জানান, একটি শিয়াল হঠাৎ গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করে রাস্তায় যাদেরকে দেখতে পাচ্ছে সবাইকে কামড় দিচ্ছে। অনেকের বাড়িতে প্রবেশ করেও কামড় দিয়ে রক্তাক্ত করেছে। দুইজনের কান ছিঁড়ে নিয়ে গেছে। তখন আমরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসি। অনেকে ভ্যাকসিন পেয়েছেন, যারা পায়নি তাদেরকে ডাক্তার জেলা হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আহত মহিদুল খন্দকার বলেন, এশার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলাম মসজিদে পথিমধ্যে একটি শিয়াল কামড় দিয়ে দ্রুত চলে গেল।
আবু বক্কর বলেন, বাড়িতে টিউবয়েলে পানি নিতে যাওয়ার সময় একটি শিয়াল কামড় দেয়।
আওড়া গ্রামের সবুজ, আতিক, মোস্তাফিজার বলেন, রাস্তায় বসে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছি শিয়াল একে একে সবাইকে কামড় দিয়ে চলে গেল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাহমিদা আক্তার লিনা জানান, শিয়ালের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু লোক এসেছিলেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং জলাতঙ্ক টিকা এখান থেকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তার কানে বেশ বড় ক্ষত হয়েছিল। তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho