রাজবাড়ীতে “শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতা মূলক প্রচার কার্যক্রম” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় আগামি ১২ অক্টোবর থেকে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) রোগের টিকা প্রদানের বিষয়টি জানানো হয়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক  (সার্বিক) শংকর চন্দ্র বৈদ্য। এতে প্রধান অতিথি বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন এস.এম.মাসুদ, রাজবাড়ী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অচিন্ত কুমার কীর্ত্তনিয়া। সঞ্চালনা করেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা রেখা ইসলাম। এসময় জেলার প্রিণ্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, সংক্রমণজনিত রোগের অন্যতম প্রধান কারণ টাইফয়েড। টাইফয়েড জ¦র “ স্যালমোনেলা টাইফি” নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বার সৃষ্ট হয়। মূলত দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে এই রোগের জীবানু শরীরে প্রবেশ করে। কিন্তু “টাইফয়েড একটি প্রতিরোধযোগ্য ব্যাধি। টিকা প্রদানের মাধ্যমে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

সারা দেশেই ৯ মাস থেকে ১৫বছর বয়সী শিশুদের এই টিকা প্রদান করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামি ১২ অক্টোবর থেকে রাজবাড়ীতে এই টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হবে।  জেলার ইপিআই স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে এই টিকা প্রদান করা হবে। এখন পর্যন্ত এই টিকায় তেমন কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া চোখে পড়েনি। এই টিকা নেওয়ার জন্য শিশুদের জন্মনিবন্ধনের নাম্মার দিয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। জেলায় প্রায় ৩ লাখ ১২ হাজার শিশুকে এই টিকার আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত ১ লাখের  বেশি শিশু এই টিকা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এই টিকা কোন ক্ষতিকর বিষয় নেই। তাই জেলার কোন শিশু যেন এই টিকা নেওয়া থেকে বাদ না পরে সে বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।