
১৬ বছর আগের দুর্নীতির মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক কামরুল হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী বোরহান উদ্দিন।
এর আগে দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৯ আগস্ট আদালত রায়ের জন্য ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করেন। তবে কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তনের পর আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক এস. এম. মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, রায়েরবাজারে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ছয়তলা ভবনের নির্মাণ ব্যয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরানীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে নির্মিত বাড়ির ব্যয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা দেখানো হলেও, গণপূর্ত বিভাগের হিসাব অনুযায়ী ওই দুই ভবনের নির্মাণ ব্যয় ছিল ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা বেশি।
এছাড়া, তার বাসায় ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়, যা ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়নি। অভিযোগে বলা হয়, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মেসার্স আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড থেকে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। তার বাড়ি নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও অবৈধ অর্থ আদায়ের মাধ্যমে মোট ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক এস. এম. মফিদুল ইসলাম। ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
বিচার চলাকালে ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আত্মপক্ষ শুনানি ও যুক্তিতর্ক শেষে আজ আদালত গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে খালাস দেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho