প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৫, ২০২৫, ৫:২৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ৮:০৪ পি.এম
আমদানি নির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানি নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

মারুফ বাবু, মোংলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির উপর নির্ভরশীল। তাই আমদানি নির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানি নীতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি, জলবায়ু পরিবর্তন, আমদানি নির্ভর আর্থিক চাপ এবং ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার যুগে ন্যায্যতার ভিত্তিতে জ্বালানি রূপান্তর ঘটাতে হবে। ন্যায্য সবুজ জ্বালানি রূপান্তর ঘটাতে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় মোংলা সরকারি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), মোংলা সরকারি মহিলা কলেজ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ প্লানেটিয়ার্স ক্লাব এ বিতর্কের আয়োজন করে।
"বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির উপরই নির্ভরশীল" শীর্ষক এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মোংলা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোংলা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম হাফিজুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা'র সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সহকারী অধ্যাপক সুপ্রীতি দেওয়ান ও সহকারী অধ্যাপক মৌসুমী পোদ্দার। বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মোংলা সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক চিন্ময় সরকার, মু. ইদ্রিস আলী মোল্যা, আম্বিয়া খানম। সঞ্চালক ছিলেন মোংলা সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মোসাল্লি মোঃ ফরিদ উদ্দিন। টাইম কিপারের দায়িত্বে ছিলেন প্রভাষক মু. রফিকুল ইসলাম।
সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, চাষাবাদের সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি আবিস্কৃত হয়েছে। একে বলে অ্যাগ্রিভোল্টাইকস। বাংলাদেশে ১১ লাখ ৮০ হাজার একর জমিতে শাকশব্জি উৎপাদন করা হয়। যদি এর দশভাগও ব্যবহার করা হয় তাহলে ২১ হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, পৃথিবীর বিকাশের এক পর্যায়ে জীবাশ্ম জ্বালানির বিশেষ ভূমিকা থাকলেও সময়ের প্রয়োজনে এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তিতে আস্থা রাখতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি হলো এমন শক্তির উৎস যা স্বল্পসময়ের ব্যবধানে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এবং ব্যবহারের ফলে শক্তির উৎসটি নিঃশেষ হয়ে যায় না।
বিচারক মন্ডলীর পক্ষ থেকে প্রভাষক মু. ইদ্রিস আলী মোল্যা বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে আমদানি নির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানি নীতি পরিহার করে পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। টেকসই সবুজ পৃথিবী গড়তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে।
"বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির উপরই নির্ভরশীল" শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পক্ষ দলে মোংলা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী পূজা অধিকারী, রূপরেখা রায়, ইরানী বিশ্বাস এবং বিপক্ষ দলে গ্রেসিটিয়া হালদার, ফারিয়া আক্তার তমা, নুসরাত জাহান দোলা অংশগ্রহণ করে। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় পক্ষ দল। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় পক্ষ দলের দলনেতা ইরানি বিশ্বাস। সবশেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho