সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্য ঘোষিত জেলা কমিটির বিরুদ্ধে অবৈধ, অগণতান্ত্রিক ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় গঠনের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তুলে সংগঠনের ৫০ জন নেতা একযোগে পদত্যাগ করেন। রবিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তারা এই ঘোষণা দেন।
পদত্যাগকারী নেতাদের দাবি, কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্বের বৈধ আহ্বায়ক কমিটিকে বিলুপ্ত না করেই একতরফাভাবে নতুন জেলা কমিটি অনুমোদন করেছে। তাদের মতে, ঘোষিত কমিটিতে নৈতিকতা ও সংগঠনের আদর্শ পরিপন্থি ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ গোপন ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বরাবর দেওয়া একটি ডেমো পদত্যাগপত্র উপস্থাপন করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, নবঘোষিত কমিটির কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অনৈতিক কর্মকাণ্ড, মাদক সংশ্লিষ্টতা এবং প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একই কমিটিতে দায়িত্ব পালনকে তারা অনুপযুক্ত মনে করায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার ২০৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করে। এতে আহ্বায়ক হন মুনতাছির হাসান মেহেদী, সদস্য সচিব মাসুদ রানা, মুখ্য সংগঠক সালমান জোয়ারদার এবং মুখপাত্র রাজিয়া ভূইঁয়া রাজিতা। কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয় এবং মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগের প্রবাহ দেখা যায়।
শনিবার রাতে প্রথম দফায় নতুন কমিটি থেকে সরে দাঁড়ান সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াসির আরাফাত ইশান, যুগ্ম আহ্বায়ক আসির ইন্তেসার অয়ন, টিএম মুশফিক সাদ, রাহাত তালুকদার, সাদমান জাহিন, আধাম আদৃত, সংগঠক যুবায়ের আল ইসলাম সেজান, সিনিয়র সহ-মুখপাত্র সাদিয়া আহমেদ সিনহা ও যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আঞ্জারুল ইসলাম।
পদত্যাগকারী নেতারা জানান, প্রাথমিকভাবে ৫০ জন পদত্যাগ করেছেন এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। একই সঙ্গে তারা অবৈধ কমিটি বাতিল করে স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক আলোচনার মাধ্যমে পুনর্গঠনের দাবি জানান।