নজরুল ইসলাম ॥
বিএনপির প্রয়াত জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের কবর জিয়ারতসহ সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত যশোর জেলা বিএনপির তিন শহীদ নেতার পরিবারের সাথে দেখা করেছেন দলটির জাতীয় নেতৃবৃন্দ। খুলনার বিভাগীয় মহাসমাবেশে যোগদান শেষে ঢাকায় যাওয়ার পথে যশোরে যাত্রাবিরতি করেন তাঁরা। গতকাল শুক্রবার সকালে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল শহরতলীর শেখহাটি গ্রামে যশোর জেলা বিএনপির প্রয়াত যুগ্ম সম্পাদক শহীদ আব্দার ফারুকের বাড়িতে যান। নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত আব্দার ফারুকের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত বিএনপির অপর দুই নেতা যশোর জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান আকুল এবং জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস হোসেনের পরিবারের সদস্যরা।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তিন শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে দীর্ঘ সময় কাটান এবং খোঁজখবর নেন। সেখানে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, দলের খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, আহবায়ক কমিটির সদস্য গোলাম রেজা দুলু, মিজানুর রহমান খান, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. শাহাজালাল প্রমুখ। শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে সাাত ও কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নেতৃবৃন্দ যান শহরের কারবালা কবরস্থানে। সেখানে শায়িত দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের কবরে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নেতৃবৃন্দ মরহুমের কবর জিয়ারত ও তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এসময় সেখানে উল্লিখিত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও আরও কয়েকজন নেতা যোগ হন। এরা হলেন-জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আহবায়ক কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম, হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমীর ফয়সাল, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পী প্রমুখ। পরে নেতৃবৃন্দ যশোর বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।