বাকী চার যুবক কে এখানে কেন ডেকে এনছেন এমন প্রশ্নের জবাবে টাউট বিল্লাল হোসেন বলেন, উপজেলার পটুয়াপাড়া গ্রামের আসলাম হোসেনের পুত্র ইমন হোসেন (২০) কে এনএস নিউজ টিভির যশোর জেলা প্রতিনিধি, এছাড়া একই গ্রামের হাশেম আলীর পুত্র শরিফ হোসেন (২৫), বিপ্লব হোসেনের পুত্র সজীব হোসেন (১৭) এবং কৃষ্ণনগর গ্রামের দীপকের পুত্র বিশ্বজিৎ (১৭) কে এ জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে ওই টিভির প্রতিনিধি পরিচয় পত্র দেব বলে ডেকেছি। এ সময় এস আই সিরাজুল ইসলাম বিল্লাল হোসেন কে আবারো প্রশ্ন করেন এভাবে পল্লীতে বসে অফিসিয়াল পরিচয় পত্র দেয়ার কি কোন বৈধতা আছে এবং আপনি দেয়ার কে ? এ সময় বিল্লাল হোসেন নিজেকে ওই টিভির মালিক বলে দাবী করেন। টাউট বিল্লাল টিভির মালিক শুনে উপস্থিত স্থানীয় চেয়ারম্যান নওশের আলীসহ শতাধিক মানুষ হতবাক হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিল্লালের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় একাধিক মামলা ছিল। তাছাড়া বিল্লাল হোসেন জীবনে কখনও স্কুলে গেছেন এটাও কেউ দেখেননি। শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে আমার সবকিছু মন্ত্রনালয় এ জমা দেয়া আছে। থানা পুলিশ তাদের কে ছেড়ে দিলেও তার পরিচয় পত্র নিয়ে যাচাই পূর্বক পরবর্তীতে আইননত ব্যাবস্থা নেয়ার ঘোষনা দিয়ে সবাই কে ছেড়ে দেন। সম্প্রতি ঝিকরগাছা শহরসহ উপজেলার বাঁকড়া, বাগআচড়া এলাকায় বেশ কিছু এ জাতীয় সাংবাদিক তৈরী হয়েছে। তারা মোটরসাইকেলে সাংবাদিক লিখে দিনভর সরকারী বিভিন্ন দপ্তরসহ সামান্য বিষয়ে এলাকার সাধারন মানুষকে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমামুল হাসান সবুজ ও সাধারন সম্পাদক সৈয়দ ইমরান রশীদ।
নিজস্ব সংবাদদাতা 














































