রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপুরে ওএমএসের চাল-আটা কেনার জন্য উপচে পড়া ভিড়

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর এলাকায় ডিলারের মাধ্যমে চাল ও আটা বিক্রয় করছেন। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় সরকার নির্ধারিত ডিলারের দোকানে উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উকিল পাড়া রোডে ডিলার সুভাষ চন্দ্র সাহার দোকানে গিয়ে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। ক্রেতারা সকলেই নিম্ন আয়ের মানুষ। কোভিট ১৯ পরিস্থিতিতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। নারী ও পুরুষের আলাদা লাইন থাকলেও একটি মাত্র দরজা থাকার কারনে গাদাগাদি করে চাল ও আটা কিনছেন নারী ও পুরুষ। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে অনেকেই পড়ে গিয়ে ব্যথাও পেয়েছেন।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে ৬ দিন (শুক্রবার ব্যতীত) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ওএমএস-এর চাল বিক্রি হওয়ার কথা। একজন ডিলার প্রতিদিন এক টন  চাল ও এক টন আটা বরাদ্দ পান। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল, ৫ কেজি আটা ক্রয় করতে পারেন। গত ২২ জানুয়ারি থেকে দুর্গাপুর পৌর সদরে এ চাল ও আটা বিক্রি শুরু হয়। ক্রেতারা সকাল ৯টার আগেই ডিলারের দোকানের সামনে এসে ভিড় করছেন। দুপুরের আগেই বরাদ্দকৃত চাল ও আটা বিক্রি শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্রেতা এসে না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে।

পৌর সদরের বালিকান্দি গ্ৰামের বাসিন্দা নয়ন মিয়া (৪০) জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর চাল ও আটা কিনতে পারলাম। কম দামে চাল ও আটা কিনতে পেরে আমাদের মত গরীব মানুষের বেশ উপকার হচ্ছে।
পৌর সদরের লেঙ্গুরা গ্রামের বাসিন্দা আনিল দাস(৫৫) বলেন, ২ ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি চাল ও আটা কেনার জন্য।
দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের মাকরাইল গ্রামের বাসিন্দা হাফিজা খাতুন (২৫) বলেন অনেক দূর থেকে এসেছে চাল নিতে কিন্তু প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে চাল না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি কারণ বাসায় ছোট ছোট দুটি বাচ্চা রেখে এসেছি।

ডিলার  সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, যে চাল ও আটা বরাদ্দ পাই তা দুপুরের আগেই শেষ হয়ে যায়। অনেকেই এসে না পেয়ে ফেরত যায়। বরাদ্দ দ্বিগুণ করলে মোটামুটি মানুষের চাহিদা অনুযায়ী চাল ও আটা দেওয়া যেত।
দুর্গাপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক  আনিসুর রহমান খান বলেন মানুষের দীর্ঘ লাইন ও চাহিদার বিষয়টি সরেজমিনে দেখতে এসেছি। বরাদ্দ দেড় টন হলে মানুষের চাহিদা অনেকটাই মেটানো যেত।

বার্তাকণ্ঠ/এন

জনপ্রিয়

নির্বাচনের দিন সাধারণ ছুটি

দুর্গাপুরে ওএমএসের চাল-আটা কেনার জন্য উপচে পড়া ভিড়

প্রকাশের সময় : ০২:১৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর এলাকায় ডিলারের মাধ্যমে চাল ও আটা বিক্রয় করছেন। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় সরকার নির্ধারিত ডিলারের দোকানে উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উকিল পাড়া রোডে ডিলার সুভাষ চন্দ্র সাহার দোকানে গিয়ে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। ক্রেতারা সকলেই নিম্ন আয়ের মানুষ। কোভিট ১৯ পরিস্থিতিতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। নারী ও পুরুষের আলাদা লাইন থাকলেও একটি মাত্র দরজা থাকার কারনে গাদাগাদি করে চাল ও আটা কিনছেন নারী ও পুরুষ। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে অনেকেই পড়ে গিয়ে ব্যথাও পেয়েছেন।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে ৬ দিন (শুক্রবার ব্যতীত) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ওএমএস-এর চাল বিক্রি হওয়ার কথা। একজন ডিলার প্রতিদিন এক টন  চাল ও এক টন আটা বরাদ্দ পান। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল, ৫ কেজি আটা ক্রয় করতে পারেন। গত ২২ জানুয়ারি থেকে দুর্গাপুর পৌর সদরে এ চাল ও আটা বিক্রি শুরু হয়। ক্রেতারা সকাল ৯টার আগেই ডিলারের দোকানের সামনে এসে ভিড় করছেন। দুপুরের আগেই বরাদ্দকৃত চাল ও আটা বিক্রি শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্রেতা এসে না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে।

পৌর সদরের বালিকান্দি গ্ৰামের বাসিন্দা নয়ন মিয়া (৪০) জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর চাল ও আটা কিনতে পারলাম। কম দামে চাল ও আটা কিনতে পেরে আমাদের মত গরীব মানুষের বেশ উপকার হচ্ছে।
পৌর সদরের লেঙ্গুরা গ্রামের বাসিন্দা আনিল দাস(৫৫) বলেন, ২ ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি চাল ও আটা কেনার জন্য।
দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের মাকরাইল গ্রামের বাসিন্দা হাফিজা খাতুন (২৫) বলেন অনেক দূর থেকে এসেছে চাল নিতে কিন্তু প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে চাল না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি কারণ বাসায় ছোট ছোট দুটি বাচ্চা রেখে এসেছি।

ডিলার  সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, যে চাল ও আটা বরাদ্দ পাই তা দুপুরের আগেই শেষ হয়ে যায়। অনেকেই এসে না পেয়ে ফেরত যায়। বরাদ্দ দ্বিগুণ করলে মোটামুটি মানুষের চাহিদা অনুযায়ী চাল ও আটা দেওয়া যেত।
দুর্গাপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক  আনিসুর রহমান খান বলেন মানুষের দীর্ঘ লাইন ও চাহিদার বিষয়টি সরেজমিনে দেখতে এসেছি। বরাদ্দ দেড় টন হলে মানুষের চাহিদা অনেকটাই মেটানো যেত।

বার্তাকণ্ঠ/এন