
বেলা ১১টায় এরশাদের মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টার রংপুর সেনানিবাসের হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখান থেকে তাকে নেয়া হবে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং তাকে শেষবারের মতো দেখবেন। বাদ জোহর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন এরশাদের জানাজায় ইমামতি করবেন রংপুর করিমিয়া নুরুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহম্মদ ইদ্রিস আলী। তাকে সমাহিত করতে পল্লী নিবাসের লিচু বাগানে প্রস্তুত করা হয়েছে কবর। তবে দলের পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানাজা শেষে এরশাদের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।
এরশাদের মরদেহবাহী কফিনের সঙ্গে ঢাকা থেকে যাচ্ছেন তার ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু।
প্রসঙ্গত রোববার সকাল পৌনে ৮টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন। রোববার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর সোমবার বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদে দ্বিতীয় এবং বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রংপুরে চতুর্থ জানাজা শেষে আজ তাকে দাফন করা হবে
নিজস্ব সংবাদদাতা 




























