
নজরুল ইসলাম ।।
নাশকতা প্রস্তুতির মামলায় শার্শা উপজেলা বিএনপি-জামায়াতের ৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার কালিয়ানী গ্রামের রিপন হোসেন, ইউনুছ আলী, রায়হান হোসেন শেখ, সেতাই গ্রামের নয়ন কবির, আশিকুজ্জামান শাওন, জাবির হোসেন, হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের আশানুর জামান, জিয়াউর রহমান, বসতপুরের নজরুল ইসলাম, দক্ষিন বুরুজ বাগানের ওয়াসী উদ্দিন, জিয়াউর রহমান জিয়া, আল মামুন বাবলু, বাগুড়ী গ্রামের আক্তারুজ্জামান, কাজীর বেড় গ্রামের রুহুল কুদ্দুস কটা, সাইদুজ্জামান, বাগআঁচড়া গ্রামের শরীফ উদ্দিন সোহাগ, গোকর্ণ গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান, মকবুল হোসেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের আহসান হাবীব খোকন, শ্যামলাগাছী গ্রামের শাহান, মোস্তফা কামাল মিন্টু, কালীয়ানী গ্রামের জাহাঙ্গির হোসেন, মহিষাকুড়া গ্রামের শাহাবাজ আলী, শফিকুর রহমান, ইদ্রিস আলী, বাগডাঙা গ্রামের মশিয়ার রহমান গোলদার, রহিত আলী, আমলাই গ্রামের আলতাফ হোসেন, দক্ষিন রাঘবপুর গ্রামের ওসমান আলী গাজী, মহিষা উত্তরপাড়া গ্রামের শাহাব উদ্দিন, ধান্যতাড়া গ্রামের ইমানুর রহমান ও বহিলাপোতা গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন লিটন।
শার্শা থানার এসআই আবুল হোসেন তদন্ত শেষে যশোর আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। একই সাথে এ মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তেবাড়িয়া গ্রামের রুমি, বাগাডাঙার আব্দুর রাজ্জাক, কায়বা গ্রামের কাউসার আলী ও একই গ্রামের মোহাম্মদ মাসুদকে এ মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শার্শার গোগা বাজার এলাকার গোগা কালিয়ানী আলিম মাদ্রাসায় অভিযান চালায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে আসামিরা সেখানে নাশকতার প্রস্তুতি নেয় বলে পুলিশ জানতে পারে। এসময় সেখান থেকে ৮জনকে আটক করে পুলিশ। অন্যরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৫টি ককটেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এঘটনায় বাগআঁচড়া তদন্ত কেন্দ্রর এস আই আব্দুর রহিম হাওলাদার বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা দায়ের করেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা 







































