মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে আনসার সদস্যকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

রোকনুজ্জামান রিপন :=

প্রকাশ্য দিবালোকে যশোরের হাশিমপুরে চায়ের দোকানে হোসেন আলী তরফদার (৫৫) নামে এক আনসার সদস্য গুলিতে খুন হয়েছেন। শনিবার হাশিমপুর বাজারে একটি চায়ের দোকানের সামনে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। নিহত হোসেন আলী হাশিমপুর গ্রামের তরফদারপাড়ার আরশাদ আলী তরফদারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, হোসেন আলী তরফদার চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। ওইসময় কয়েকজন তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। একটি গুলি তার মাথায়, আরেকটি তার বুকের বামপাশে বিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

নিহতের বোন শরীফা বেগম ও মেয়ে জুলি জানান, আনসার বাহিনীর সদস্য হোসেন আলী তরফদার ঢাকার মিরপুরে কর্মরত ছিলেন। তিনদিন আগে ছুটিতে তিনি বাড়ি এসেছেন। আজ যশোর সদরের ভেকুটিয়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তারা শুনতে পান- হোসেন আলী হাশিমপুরে বাজারে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, হোসেন আলী তরফদার একসময় নিষিদ্ধঘোষিত চরমপন্থী দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৯ সালে সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন তিনি। এরপর সরকার তাকে আনসার বাহিনীতে চাকরি দেয়।

পুলিশ সুপার মঈনুল হক ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, আনসার বাহিনীর বিশেষ সদস্য হোসেন আলী তরফদারের খুনিরা বাজারের আশেপাশেই ছিল। তিনি আসার পর হত্যা করে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে মিশে খুনিরা পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার কারণে তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন। তবে, হত্যাকান্ডের সঙ্গে যেই জড়িত থাক না কেন পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ সিজেডএমের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্রের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি পাথালিয়াপাড়া এলাকায় সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এর জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্র নারী ও পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈজুরি বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও কৈজুরি মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা মো. জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজেডএমের জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. ইসমাইল হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিন অফিসার হাফিজুর রহমান, ফিল্ড অফিসার মো. শহিদুল ইসলামসহ জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শীতবস্ত্র পেয়ে উপকারভোগী নারী ও পুরুষরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শীত মৌসুমে এ সহায়তাকে সময়োপযোগী ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

যশোরে আনসার সদস্যকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৯
রোকনুজ্জামান রিপন :=

প্রকাশ্য দিবালোকে যশোরের হাশিমপুরে চায়ের দোকানে হোসেন আলী তরফদার (৫৫) নামে এক আনসার সদস্য গুলিতে খুন হয়েছেন। শনিবার হাশিমপুর বাজারে একটি চায়ের দোকানের সামনে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। নিহত হোসেন আলী হাশিমপুর গ্রামের তরফদারপাড়ার আরশাদ আলী তরফদারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, হোসেন আলী তরফদার চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। ওইসময় কয়েকজন তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। একটি গুলি তার মাথায়, আরেকটি তার বুকের বামপাশে বিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

নিহতের বোন শরীফা বেগম ও মেয়ে জুলি জানান, আনসার বাহিনীর সদস্য হোসেন আলী তরফদার ঢাকার মিরপুরে কর্মরত ছিলেন। তিনদিন আগে ছুটিতে তিনি বাড়ি এসেছেন। আজ যশোর সদরের ভেকুটিয়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তারা শুনতে পান- হোসেন আলী হাশিমপুরে বাজারে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, হোসেন আলী তরফদার একসময় নিষিদ্ধঘোষিত চরমপন্থী দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৯ সালে সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন তিনি। এরপর সরকার তাকে আনসার বাহিনীতে চাকরি দেয়।

পুলিশ সুপার মঈনুল হক ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, আনসার বাহিনীর বিশেষ সদস্য হোসেন আলী তরফদারের খুনিরা বাজারের আশেপাশেই ছিল। তিনি আসার পর হত্যা করে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে মিশে খুনিরা পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার কারণে তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন। তবে, হত্যাকান্ডের সঙ্গে যেই জড়িত থাক না কেন পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবে।