নিজস্ব সংবাদদাতা 
সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ :=
করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর আগে একদিনে চিনের হুবেই প্রদেশে ২৪২ জন মারা গেছেন। চিনের বাইরে ২৫টি দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তের খবর পাওয়া গেলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোও আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।অনুন্নত দেশগুলো করোনা আক্রান্ত হলে মারাত্মক হুমকিতে পড়বে বলেও সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিনের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের ২৫টির বেশি দেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে গবেষকদের আশঙ্কা, ২৫টি নয় বরং আরও অনেক দেশেই এ ভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারে।সর্দি, হাঁচি-কাশি ও সাধারণ জ্বর করোনা ভাইরাসের লক্ষণ হওয়ায় সহজে শনাক্ত করা সম্ভব নয় এই ভাইরাস। অনুন্নত দেশগুলোতে এই রোগ ছড়িয়ে থাকলেও দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার কারণে ভাইরাস শনাক্ত করা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন তারা।
বিশেষ করে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের। উহানের পাশাপাশি চিনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিমানের ফ্লাইটের তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনার ভিত্তিতে এ আশঙ্কার কথা জানান গবেষকরা।
থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির কথা বলা হলেও যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সাউদ্যাম্পটনের অধ্যাপক শেংজি লাই জানান, তাদের প্রাপ্ত গবেষণা বলছে, উহান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই অন্তত ২০৭ ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন।ইন্দোনেশিয়ায় এখন পর্যন্ত কারো দেহে করোনা শনাক্ত করা না গেলেও বিশেষজ্ঞদের গবেষণা বলছে অন্তত ৩৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও অস্ট্রেলিয়াতেও আক্রান্তের যে সংখ্যা বলা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তা আরও বেশি বলেও উল্লেখ করা হয়।
আফ্রিকার কোন দেশে এখনো করোনাভাইরাস শনাক্তের খবর পাওয়া না গেলেও মহাদেশটিতে চিনা শ্রমিকরা কাজ করায় ভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা হার্ভার্ড টি এইচ চান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষক মার্ক লিপসিচের।
আরেকটি গবেষণায় আফ্রিকার মধ্যে মিশর, আলজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সবচেয়ে বেশি করোনা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।এছাড়া হুবেই এবং এর রাজধানী উহানে এ ভাইরাস সংক্রমণে আরও ৪,৮৩৩ টি নতুন রোগীর খবর পাওয়া গেছে, যার ফলে এই প্রদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫১,৯৮৬ জনে।
সব মিলিয়ে দেশব্যাপী শুক্রবার পর্যন্ত ৫০৯০ জন নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যাটি প্রায় ৬৫ হাজারে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে।
