বেনাপোল স্থলবন্দরের অভ্যন্তর থেকে ভারতীয় ট্রাক চুরির সময় স্থানীয় নৈশ্য প্রহরীর সহায়তায় ট্রাক চোর চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছেন পোর্ট থানা পুলিশের সদস্যরা। আটককৃতরা হলো বেনাপোল’র বড়আচড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র সোহাগ(২০) ও যশোর শহরতলীর খয়ের তলা এলাকার সালাউদ্দিনের পুত্র গাড়ী চালক শাকিল(১৫)।
বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত বেসরকারি নৈশ্য প্রহরীর দলপতি হাবিবুর রহমান জানান, বৃহষ্পতিবার রাত ১১টার দিকে স্থলবন্দর এলাকার টার্মিনাল রোডে স্থাপিত পন্য স্ক্যানার মেশিনের সামনে হতে সন্দেহতীত ভাবে ভারতীয় খালি ট্রাকটি ছেড়ে যাওয়ার সময় চালক শাকিলকে আটক করা হয়। প্রাথমিক ভাবে সে গাড়িটির হেলপার পরিচয় দিলেও ভারতীয় কোন প্রমান পত্র না দেখাতে পারায় গাড়ী চোর চক্রের সদস্য বলে প্রমানিত হলে স্থানীয় পোর্টথানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চালকের দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে বড় আঁচড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে সোহাগকে আটক করেন।
বেনাপোল পোর্টথানার এস আই ও ট্রাক উদ্ধার ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা মাসনুন আলম জড়িতদের আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে স্থল বন্দর নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) সাকিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, শুনেছি চোরসহ ট্রাক আটক হয়েছে গাড়ীটি কাঁচা মালের মাঠের সামনে সড়কে ছিলো। ওখান থেকে চুরি করে নিয়ে যাবার প্রক্কালে নৈশ প্রহরীর হাতে ট্রাকসহ শাকিল নামে এক ড্রাইভার আটক হয়েছে। বন্দরের নিরাপত্তা প্রশ্নে তিনি আরো জানান, সড়ক হতে গাড়ী চুরি হওয়ার বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারে পড়ে না ওটার জন্য আলাদা নৈশ্য প্রহরী আছে। মজার বিষয় হলো যে সময় করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশ লকডাউন এমনকি বাংলাদেশ লকডাউন হওয়ার পুর্বেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ একমাসের লকডাউন ঘোষণা হয়েছে ঠিক সেই সময় বন্দর অভ্যন্তর হতে একটি ভারতীয় ট্রাক বন্দরের বাহিরে যাচ্ছে তাতে বন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার বাহিনীর এখতিয়ারের বাইরে। অভিজ্ঞ মহলের জিজ্ঞাসা তাহলে আনসার বাহিনীর দায়িত্বটা কি?
বেনাপোল পোর্টথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কোর্ট হাজতে প্রেরনের পক্রিয়া চলছে। উদ্ধারকৃত ট্রাকটি (নং-ডাবলু বি-৪১ ই-৭৩০৯) বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশী হেফাজতে রয়েছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা 








































