বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে হোম কোয়ারেন্টাইনের শেষ দিনেই ওমান প্রবাসী নিহত : গ্রাম লকডাউন

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, :সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :==
গত ১৮মার্চ ওমান থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে আসেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় জালালপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিন জয়নাল আবেদিন। এরপর থেকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। আজ তার হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ দিন।
আর আজেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ওমানপ্রবাসী মারা গেছেন। উপজেলার এনিয়ে প্রশ্ন ওঠায় জেলা প্রশাসন ওই গ্রাম লকডাউন করার নির্দেশনা দিয়েছে। কঠোরতা মেনে প্রবাসীর লাশ দাফনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিহত প্রবাসী করোনা আক্রান্ত ছিলেন কী-না,যাচাইয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১৮মার্চ ওমান থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে তিনি দেশে আসেন। দেশে আসার পর থেকে তিনি স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। আজ তার হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সকালে তার তীব্র পেটে ব্যথা শুরু হলে গ্রামের ডাক্তার আরজু মিয়া তাকে দুটি ইনজেকশন দেয়ার পর তিনি মারা যান।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন,দশ দিন আগে দেশে আসছিলেন তার জ্বর,সর্দি বা কাশি ছিলনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী চিকিৎসক আরজু মিয়া বলেন,রোগীর নিকট আত্মীয়ের অনুরোধে রোগীর কাছে যাওয়ার পর রোগী তাকে জানান তার প্রচণ্ড পেট ব্যথা করছে। এ সময় তিনি আমাকে ইঞ্জেকশন দেয়ার কথা বলেন। তার কথায় টিমেনিয়াম ও ইসুমিপ্রাজল ইনজেকশন পুশ করে বাড়ি চলে আসি। তার আধাঘণ্টা পর রোগী মারা যান।

প্রবাসীর আত্নীয় ইউপি সদস্য সাব্বির মিয়া বলেন,সকালে ওই ব্যক্তির ভীষণ পেট ও বুক ব্যথা দেখা দেয়। তার কান সর্দি, জ্বর,কাশি বা শাসকষ্ট ছিলনা। তবে তার পুরনো পেটের পীড়া অসুখ ছিল। সেই অসুখ দেখা দিলে আমরা তাকে কবিরাজ ও স্থানীয় চিকিৎকের ওষুধ খাওয়াই। হাসপাতালে নিয়ে আসার প্রস্তুতির সময় সাড়ে ৭টায় মারা যায়।

দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন,তার শরীরের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কোনো লণ উপসর্গ ছিল না। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন,প্রবাসী যেতেতু কোয়ারেন্টাইনে মারা গেছেন তাই সচেতনতার জন্য তার পাড়া ও আশপাশের পাড়া লকডাউন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগকে কিট এনে কভিড-১৯ এর পরীার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া,

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী সেলিম রেজা

সুনামগঞ্জে হোম কোয়ারেন্টাইনের শেষ দিনেই ওমান প্রবাসী নিহত : গ্রাম লকডাউন

প্রকাশের সময় : ০৮:৩১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল ২০২০
জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, :সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :==
গত ১৮মার্চ ওমান থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে আসেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় জালালপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিন জয়নাল আবেদিন। এরপর থেকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। আজ তার হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ দিন।
আর আজেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ওমানপ্রবাসী মারা গেছেন। উপজেলার এনিয়ে প্রশ্ন ওঠায় জেলা প্রশাসন ওই গ্রাম লকডাউন করার নির্দেশনা দিয়েছে। কঠোরতা মেনে প্রবাসীর লাশ দাফনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিহত প্রবাসী করোনা আক্রান্ত ছিলেন কী-না,যাচাইয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১৮মার্চ ওমান থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে তিনি দেশে আসেন। দেশে আসার পর থেকে তিনি স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। আজ তার হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সকালে তার তীব্র পেটে ব্যথা শুরু হলে গ্রামের ডাক্তার আরজু মিয়া তাকে দুটি ইনজেকশন দেয়ার পর তিনি মারা যান।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন,দশ দিন আগে দেশে আসছিলেন তার জ্বর,সর্দি বা কাশি ছিলনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী চিকিৎসক আরজু মিয়া বলেন,রোগীর নিকট আত্মীয়ের অনুরোধে রোগীর কাছে যাওয়ার পর রোগী তাকে জানান তার প্রচণ্ড পেট ব্যথা করছে। এ সময় তিনি আমাকে ইঞ্জেকশন দেয়ার কথা বলেন। তার কথায় টিমেনিয়াম ও ইসুমিপ্রাজল ইনজেকশন পুশ করে বাড়ি চলে আসি। তার আধাঘণ্টা পর রোগী মারা যান।

প্রবাসীর আত্নীয় ইউপি সদস্য সাব্বির মিয়া বলেন,সকালে ওই ব্যক্তির ভীষণ পেট ও বুক ব্যথা দেখা দেয়। তার কান সর্দি, জ্বর,কাশি বা শাসকষ্ট ছিলনা। তবে তার পুরনো পেটের পীড়া অসুখ ছিল। সেই অসুখ দেখা দিলে আমরা তাকে কবিরাজ ও স্থানীয় চিকিৎকের ওষুধ খাওয়াই। হাসপাতালে নিয়ে আসার প্রস্তুতির সময় সাড়ে ৭টায় মারা যায়।

দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন,তার শরীরের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কোনো লণ উপসর্গ ছিল না। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন,প্রবাসী যেতেতু কোয়ারেন্টাইনে মারা গেছেন তাই সচেতনতার জন্য তার পাড়া ও আশপাশের পাড়া লকডাউন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগকে কিট এনে কভিড-১৯ এর পরীার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া,