সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারের প‌্র‌নোদনার আওতায় নেই কাস্টমস ও বন্দর : জীবনের ঝুকি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে তারা

তানজীর মহসিন অংকন ।। 

ক‌রোনা ভাইরা‌সের ক‌ারনে স‌রকার, গা‌র্মেন্টস, শ্র‌মিক, ব্যাংক‌ার , ট্যু‌রিজম সহ বি‌ভিন্ন সেক্ট‌রে প‌্র‌নোদনা দি‌লেও কাষ্টম‌স ও বন্দরকে প্রনোদনার আওতায় রাখা হয়নি। করোনার কারণে সরকার সাধারন ছুটি ঘোষনার পরপরই বেনাপোল কাস্টমস কমিশণার বেলাল হোসাইন চৌধুরী ও বন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর মামুনুর রহমান সহ সকল কর্মকর্তা কর্মচ‌ারী‌রা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন জীবনের ঝুকি নিয়ে।বিশেষ করে ভারত থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশী যাত্রীরা বেনাপোল চেকপোস্‌ট দিয়েই ফিরে আসছেন দেশে প্রতিনয়ত।ইমিগ্রেশন পুলিশের সাথে কাস্টমস কর্মকর্তারাও যাত্রীদের সেবা প্রদান করছেন।

বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে সরকার বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকেন। ভারতের সাথে বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকার বানিজ্য হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে।

অথচ সাধারন ছুটির মধ্যেও কাস্টমস ও বন্দর খোলা রে‌খে বন্দর থেকে আমদানিকৃত পণ্য খালাশ দিচ্ছেন। মৃত্যুর ঝুকি আ‌ছে জে‌নেও বেনা‌পোল কাস্টমস চেক‌পোষ্ট, কাস্টমস হাউ‌স ,বন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা রাজস্ব আহরনে মাঠ পর্য়ায়ে কাজে নিয়োজিত আছেন। বর্তমান সম‌য়ে ক‌রোনা ভাইরা‌সের কার‌নে সকল‌কে ঘ‌রে থাক‌ার কথা বলা হ‌লে কাস্টমস কর্মকর্তা‌দের  রাজস্ব আদায়ে মাট পর্যায়ে কাজ করতে বলা হচ্ছে। দে‌শের জন্য মৃত্যু ঝু‌কি নি‌য়ে রাজস্ব আদায় ক‌রে দি‌চেছ অথচ এদের কোন প্র‌নোদনার ব্যবস্থা ক‌রেন‌নি করকার।

বেনাপোল কাসটমস  হাউসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন চৌধুরী জানান, সরকারী নির্দেশে সকল কর্মকর্তা কর্ম চারীরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। কাস্টমসকেও  প্রনোদনা দেয়া উচিত। তাহলে জীবনের ঝুকি নিয়ে হলেও প্রত্যেকে কাজ করবে সার্ব ক্ষনিক। তিনি আরো বলেন  ক‌রোনা ভাইরা‌সের কার‌নে সরকার সাধারন ছু‌টি ঘোষনা কর‌লেও আমরা বেনা‌পোল ছে‌ড়ে যে‌তে পার‌ছিনা। আমরা যারা বেনা‌পোলে আ‌ছি এ‌দের বেশীর ভাগ প‌রিবারই অব্স্থান করেন ঢাকায়।  তারা কিভা‌বে থাক‌ছে কি খাচ্ছে কোন সাবধানতা অবলম্বন  কর‌ছে কিনা তাও জা‌নিনা। ফো‌নে ততোটুকু খবর নেয়া যায় সেটুকু নি‌য়ে থা‌কি। আমরা প‌রিবার প‌রিজন ফে‌লে রে‌খে জীব‌নের ঝু‌কি নি‌য়ে সরকা‌রের রাজস্ব আদা‌য়ের কাজ ক‌রে যা‌চ্ছি অথচ আমা‌দের কোন প্র‌নোদনার ব্যবস্থা নেই।

বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর মামুনুর রহমান জানান, যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে তাদের অবশ্যই প্রনোদনা পওয়া উচিত। তাহেল বন্দরের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজে আরো উৎসাহীত হবেন। সাধারন ছুটির মধ্যেও কাস্টমস ও বন্দর খোলা রেখে মালামাল খালাশ দেয়া হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

শার্শার বাগআঁচড়ায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া-মাহফিল 

সরকারের প‌্র‌নোদনার আওতায় নেই কাস্টমস ও বন্দর : জীবনের ঝুকি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে তারা

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০
তানজীর মহসিন অংকন ।। 

ক‌রোনা ভাইরা‌সের ক‌ারনে স‌রকার, গা‌র্মেন্টস, শ্র‌মিক, ব্যাংক‌ার , ট্যু‌রিজম সহ বি‌ভিন্ন সেক্ট‌রে প‌্র‌নোদনা দি‌লেও কাষ্টম‌স ও বন্দরকে প্রনোদনার আওতায় রাখা হয়নি। করোনার কারণে সরকার সাধারন ছুটি ঘোষনার পরপরই বেনাপোল কাস্টমস কমিশণার বেলাল হোসাইন চৌধুরী ও বন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর মামুনুর রহমান সহ সকল কর্মকর্তা কর্মচ‌ারী‌রা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন জীবনের ঝুকি নিয়ে।বিশেষ করে ভারত থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশী যাত্রীরা বেনাপোল চেকপোস্‌ট দিয়েই ফিরে আসছেন দেশে প্রতিনয়ত।ইমিগ্রেশন পুলিশের সাথে কাস্টমস কর্মকর্তারাও যাত্রীদের সেবা প্রদান করছেন।

বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে সরকার বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকেন। ভারতের সাথে বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকার বানিজ্য হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে।

অথচ সাধারন ছুটির মধ্যেও কাস্টমস ও বন্দর খোলা রে‌খে বন্দর থেকে আমদানিকৃত পণ্য খালাশ দিচ্ছেন। মৃত্যুর ঝুকি আ‌ছে জে‌নেও বেনা‌পোল কাস্টমস চেক‌পোষ্ট, কাস্টমস হাউ‌স ,বন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা রাজস্ব আহরনে মাঠ পর্য়ায়ে কাজে নিয়োজিত আছেন। বর্তমান সম‌য়ে ক‌রোনা ভাইরা‌সের কার‌নে সকল‌কে ঘ‌রে থাক‌ার কথা বলা হ‌লে কাস্টমস কর্মকর্তা‌দের  রাজস্ব আদায়ে মাট পর্যায়ে কাজ করতে বলা হচ্ছে। দে‌শের জন্য মৃত্যু ঝু‌কি নি‌য়ে রাজস্ব আদায় ক‌রে দি‌চেছ অথচ এদের কোন প্র‌নোদনার ব্যবস্থা ক‌রেন‌নি করকার।

বেনাপোল কাসটমস  হাউসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন চৌধুরী জানান, সরকারী নির্দেশে সকল কর্মকর্তা কর্ম চারীরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। কাস্টমসকেও  প্রনোদনা দেয়া উচিত। তাহলে জীবনের ঝুকি নিয়ে হলেও প্রত্যেকে কাজ করবে সার্ব ক্ষনিক। তিনি আরো বলেন  ক‌রোনা ভাইরা‌সের কার‌নে সরকার সাধারন ছু‌টি ঘোষনা কর‌লেও আমরা বেনা‌পোল ছে‌ড়ে যে‌তে পার‌ছিনা। আমরা যারা বেনা‌পোলে আ‌ছি এ‌দের বেশীর ভাগ প‌রিবারই অব্স্থান করেন ঢাকায়।  তারা কিভা‌বে থাক‌ছে কি খাচ্ছে কোন সাবধানতা অবলম্বন  কর‌ছে কিনা তাও জা‌নিনা। ফো‌নে ততোটুকু খবর নেয়া যায় সেটুকু নি‌য়ে থা‌কি। আমরা প‌রিবার প‌রিজন ফে‌লে রে‌খে জীব‌নের ঝু‌কি নি‌য়ে সরকা‌রের রাজস্ব আদা‌য়ের কাজ ক‌রে যা‌চ্ছি অথচ আমা‌দের কোন প্র‌নোদনার ব্যবস্থা নেই।

বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর মামুনুর রহমান জানান, যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে তাদের অবশ্যই প্রনোদনা পওয়া উচিত। তাহেল বন্দরের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজে আরো উৎসাহীত হবেন। সাধারন ছুটির মধ্যেও কাস্টমস ও বন্দর খোলা রেখে মালামাল খালাশ দেয়া হচ্ছে।