
নুরুজ্জামান লিটন:/=
আগামী ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল কলরেট এবং তামাকজাত পণ্যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। বাজেটে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্য এবং তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর দাবির মুখে এই দুই খাতে কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে।
এনবিআরের তৈরি করা বাজেট প্রস্তাবনায় এমন প্রস্তাব যোগ করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘করোনা মহামারির কারণে সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরে আয় বাড়াতে বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে। সরকার চাচ্ছে, জনজীবনে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন খাতে করের বোঝা না চাপাতে। তামাক ও মোবাইল যোগাযোগ সব সময়ই সরকারের আয়ের অন্যতম বড় উৎস। তাই এ দুই খাতে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, আসন্ন বাজেটে মোবাইল কলরেটে বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। অর্থাৎ নতুন করে ৫ শতাংশ শুল্ক বাড়তে পারে। বর্তমানে মোবাইল ব্যবহারকারীরা টকটাইম এবং খুদে বার্তায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১ শতাংশ সারচার্জ রয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ভ্যাট আছে ৫ শতাংশ।
এক্ষেত্রে এনবিআরের যুক্তি হচ্ছে, সরকার করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। সে হিসেবে এ খাত থেকে বেশি আয় হতে পারে। অন্যদিকে, সিগারেট, বিড়ি, গুল ও জর্দাসহ তামাকজাত সামগ্রীর ওপর সম্পূরক শুল্ক বিভিন্ন ধাপে হতে পারে। বেশি রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এনবিআর সিগারেটের দামের স্ল্যাবগুলো সংশোধন করতে পারে।
তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব বিবেচনা করে তামাকজাত পণ্যগুলোর জন্য অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের দাবি করে আসছে। এনবিআরের কাছে বাজেট প্রস্তাবনায় সংগঠনগুলো বলেছিল যে, বাজেটে সিগারেটের জন্য নির্দিষ্ট কর এবং দ্বি-স্তরের মূল্য নির্ধারণের ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা সম্ভব।
বর্তমান দেশে মোট তামাক ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা তিন কোটি ৭৮ লাখের বেশি, যা মোট জনগোষ্ঠীর (১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব) ৩৫.৩ শতাংশ। এর মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার করে, যা খুবই উদ্বেগজনক। এছাড়া, চার কোটির বেশি মানুষেও ওপর ধূমপায়ীদের প্রভাব পড়ে।
নিজস্ব সংবাদদাতা 













































