
নুরুজ্জামান লিটন:/=
দ্বিতীয় দফায় করোনা বাড়তে শুরু করায় বেইজিংয়ের নিকটবর্তী একটি এলাকা ফের লকডাউন করেছে চীন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন হেবেই প্রদেশের আনজিন কাউন্টির অন্তত চার লাখ মানুষ।
রবিবার চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আনজিন শহরটি পুরোপুরি অবরুদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে। মহামারির মূল সময়টাতে উহানে যেমন কড়া বিধিনিষেধ ছিল, সেই নির্দেশনাগুলোই ফিরিয়ে আনা হয়েছে আনজিনে।
এর ফলে, এখন থেকে শহরটিতে বসবাসকারী অত্যাবশ্যক কাজের শ্রমিক ছাড়া কেউ বাইরে যেতে পারবেন না। বাড়ির মাত্র একজন দিনে একবার নিত্যপণ্য কিনতে বাইরে যতে পারবেন।
বেইজিং থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী শহর আনজিনে সম্প্রতি ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর পরপরই সংক্রমণের বিস্তার রোধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় বেইজিংয়ে ১৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গত দু সপ্তাহে সেখানে তিন শতাধিক নতুন রোগী পাওয়া গেল। অন্যান্য দেশের তুলনায় চীনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম হলেও সংক্রমণ রোধে দ্রুত কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
বেইজিংয়ের বেশ কয়েকটি এলাকা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, ভ্রমণ সীমিত করা হয়েছে, পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সংক্রমণের আগে প্রায় ৫৭ দিন নতুন করোনা রোগীবিহীন সময় পার করেছে চীন। গত মার্চে সেখানে রোগীর সংখ্যা ৮০ হাজার পার হলেও এরপর মাত্র ৪ হাজার ৭০০ জন যোগ হয়েছে এ তালিকায়। তবে জুনের মাঝামাঝি বেইজিং ও এর আশপাশের এলাকায় আবারও স্থানীয়ভাবেই ছড়াতে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। সূত্র: বিবিসি
নিজস্ব সংবাদদাতা 










































